This Article is From Dec 02, 2019

Pollution control day : জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসে কতটা দূষণমুক্ত আমরা? কিছু তথ্য, কিছু প্রশ্ন

প্রতিবছর আজকের দিনটিতে অর্থাৎ দোসরা ডিসেম্বর এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস (National Pollution Control Day) হিসেবে পালন করা হয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Written by

জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবসে কতটা দূষণমুক্ত আমরা

প্রতিবছর আজকের দিনটিতে অর্থাৎ দোসরা ডিসেম্বর এই বিশেষ দিনটিকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস(National Pollution Control Day) হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৮৪ সালের আজকের দিনটিতেই ভোপালের সেই ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। প্রত্যেক বছরই আজকের দিনটিকে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস হিসেবে পালন করার কারণ যাতে মানুষকে সচেতন করা যায় পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে এবং দূষিত পরিবেশ থেকে নিজেকে বাঁচানোর সচেতনতা জাগানোর উদ্দেশ্যে। ভারতবর্ষকে দূষণমুক্ত করতে একাধিক আইন রয়েছে। বাতাস দূষণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইন ,শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইন ,জল দূষণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইন। কিন্তু আইনের এই কড়াকড়ি করেও আমাদের দেশের আকাশ, বাতাসকে  দূষণমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি ? উত্তরটা বোধহয় বায়ুর গুণমান সূচকই  বলে দিচ্ছে।

আজ দেশের বড় চারটি শহরে বায়ুর গুণগতমানের সূচকের দিকে একবার নজর রাখা যাক। রাজধানী দিল্লির কথাই যদি ধরা যায়, দিল্লিকে দূষণমুক্ত করতে দূষণের মাত্রা কমাতে উদ্যোগ কতটা সফল হয়েছে ?  আজকের বায়ুর গুণগতমানের সূচকের দিকে যদি নজর দিই ,তাহলে দেখা যাচ্ছে দিল্লি বিমানবন্দরের চত্বরে বায়ুর গুণগতমানের সূচক ছিল ২৪২, মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী বিমানবন্দর চত্বরে বায়ুর গুণগত মানের সূচক ছিল ১৮৫। কলকাতায় ফোট উইলিয়াম চত্বরে বায়ুর গুণগতমানের সূচক আজ বেলা একটায় ছিল ২৪২। অন্যদিকে চেন্নাইতে আজ বায়ুর গুণগতমানের সূচক বেলা একটা সময় ছিল মাত্র ৩০ মিলিমিটার।

WHO এর নির্দেশিকা অনুযায়ী বায়ুর গুণগত মানের সূচকের নির্দিষ্ট মাত্রা ২৫ মাইক্রো গ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। যদিও ভারতের ক্ষেত্রে ঠিক করা হয় বায়ুর গুণগতমান রাখতে হবে ৬০ মাইক্রো গ্রাম প্রতি ঘনমিটার। দেশের  বড় শহরের  বায়ুর গুণগতমানের সূচকের এই তালিকাই বলে দিচ্ছে দূষণ রোধে আমরা কতটা সচেতন আর দূষণের ম্যাপে ভারতের অবস্থান এখন কোথায়।

Advertisement

কিন্তু দূষণমুক্ত পরিবেশ পেতে গেলে কী করতে হবে সে বিষয়ে জানালেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ  এস এম ঘোষ। শহরের এদিক ওদিক ছড়িয়ে থাকা দোকান বা বস্তি অঞ্চল যেখানে এখনও জ্বালানি হিসেবে কাঠ কয়লা পোড়ানো হয়, সেখানে গ্যাসের ব্যবহারের প্রচলন বাড়াতে হবে, গাড়িগুলোকে সঠিক উপায়ে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। পুরনো গাড়িগুলোকে অতিশীঘ্রই বাতিল করতে হবে, কলকাতার যে সমস্ত জায়গায় ইমারতি দ্রব্য পড়ে রয়েছে, ইট ,বালি সিমেন্ট, সেখান থেকেও অনেকাংশে দূষণ ছড়াচ্ছে। নজরদারি প্রয়োজন সেক্ষেত্রেও।

কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের দূষণের মাত্রা  নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কয়েক গুণ বেশি। কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন ,হাওড়ার ঘুসুরি সংলগ্ন অঞ্চল হওয়ায় এখানে দূষণ অনেকটাই বেশি। হাওড়ার ঘুসুড়ি, যেখানে রেট ক্যাটাগরির ঝালাই এবং পেটাইয়ের কারখানায় ভর্তি। সেগুলো যাতে দূষণ রোধে ব্যবস্থা অতি শীঘ্রই নেয়, তার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া আবর্জনা জ্বালানোর প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব পরিবেশ বান্ধব করতে হবে। আর সর্বোপরি সচেতন হতে হবে শহরবাসীকে এবং অতি অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে।

Advertisement

তবে অনেকেই প্রশ্ন করছেন এসব তো জানা জিনিস কিন্তু তবুও ছবিটা সেভাবে বদলাচ্ছে না কেন? অন্য অনেক দেশে যেখানে অনেকেই প্লাস্টিক পুরোপুরি বর্জনের পথে এগোতে পারছে আমাদের দেশ তা সেভাবে করতে কি পারছে? প্রশ্ন করছেন অনেকে? পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব যানবাহন, পরিকল্পনামাফিক নগরায়ন এবং যতটা সবুজ ধ্বংস করা হয়েছে তা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া ,সুস্থ পরিবেশ তৈরি করার বিষয়ে আমাদের রোড ম্যাপ কী। এসব নিয়ে ভাবার সময় বোধহয় শেষ এখন দ্রুত কাজ করার সময়। কারণ সুস্থ পরিবেশ না পেলে আমাদের ভবিষ্যৎও যে অন্ধকার।
 

Advertisement