মহাত্মা গান্ধীর ৭১ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে গুলি চালিয়ে দিনটি উদযাপন করেছিলেন হিন্দু মহাসভার সদস্যরা।
আলিগড়: মহাত্মা গান্ধীর ৭১ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে গুলি চালিয়ে দিনটি উদযাপন করেছিলেন হিন্দু মহাসভার সদস্যরা। এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমিতির সম্পাদক পূজা শকুন পান্ডে। গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসের স্মরণে দিনটি তারা আনন্দ সহকারে উদযাপন করেছিলেন, যার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই তাদের গ্রেফতারের দাবিতে হইহই রব উঠেছিল সর্বত্র। এরপর থেকেই পুলিশ ও প্রশাসন তাদের খোঁজ শুরু করে। গত ৩০ জানুয়ারি এই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পূজা শকুন পান্ডে, তার স্বামী অশোক পান্ডে সহ ওই দলের ১২জন সদস্য। গত সপ্তাহে গ্রেফতার হয় ৩জন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হল মঙ্গলবার আলিগড়ের তপ্পল থেকে পুজা শকুন পান্ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর স্বামী অশোক পান্ডেকেও পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই দলের ১২জন সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা দায়ের করেছে। ভিডিও থেকে সদস্যদের চিহ্নিত করে ৩জনকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ মমতা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিচ্ছেন, মত শিবসেনার
জাতির জনককে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। তিনি হিন্দু মহাসভার সদস্য ছিলেন। সেই হিন্দু মহাসভাই গান্ধীজির মৃত্যুদিন ‘পালন' করল তাঁর প্রতিকৃতিতে গুলি করে। পাশাপাশি গডসের মূর্তিতে মালা দিয়ে মিষ্টিও বিতরণ করে তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায় হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক পূজা পান্ডে গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে গুলি করছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন তাঁদের সংগঠনে এই নতুন কায়দায় গান্ধীজির মৃত্যু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশেরায় যেভাবে রাবণ দহন হয় সেভাবেই এই ব্যাপারটাকে করা হবে। এই দিনটিকে সৌর্য দিবস হিসেবে দেখে হিন্দু মহাসভা।
১৯৪৯ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যার পর ওই বছরের ৮ নভেম্বর ফাঁসির সাজা হয় নাথুরামের। তার আগে চলে আইনি প্রক্রিয়া। গান্ধীজির দুই ছেলে না চাননি গড়সের ফাঁসি হোক। কিন্তু তৎকালীন ভারত সরকার নভেম্বর মাসেরই ১৫ তারিখ আম্বালা জেলে নাথুরামের ফাঁসির ব্যবস্থা করে।
এই প্রথম নয় এর আগেও গড়সেকে মহান প্রতিপন্ন করার কাজ করেছে হিন্দু মহাসভা। ২০১৫ সালে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছিল তারা কর্নাটকের ছ'টি জেলায় গড়সের মূর্তি বসাতে চায়।