জনজীবন মোটের ওপর স্বাভাবিক, রাস্তায় বাস নামলেও যাত্রী কম ছিল
কলকাতা: মঙ্গলবার সকাল থেকে বনধকে করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শিলিগুড়ি, বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জোর করে বনধ কার্যকর করার চেষ্টা করায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বনধ সমর্থনকারীদের সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকটি এলাকা ছাড়া কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ জনজীবন ছিল অন্যদিনের মতোই।
রাস্তায় দেখা গেছে বাস সহ অন্যান্য যানবাহন। যদিও যাত্রী সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম। বাস বনধ করতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে টায়ার জ্বালানো হয়। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়।
যথেষ্ট হয়েছে, রাজ্যে আর কোনও ধর্মঘট হবে নাঃ মমতা
বারাসতের চাঁপাডালিতে সরকারি বাসে ভাঙচুর করে বনধ সমর্থকরা। এছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়াতেও একটি বাসে ভাঙচুর হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ ও বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। যাদবপুরে অন্যান্য বনধ সমর্থক সহ আটক হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
রেল লাইনে দাঁড়িয়ে পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয় বনধ সমর্থকদের তরফে। বনধ সফল করতে রাস্তায় নামেন সিপিএম নেতারা। বনধের বিরোধীতায় তৃণমূল কংগ্রেস।
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, সিবিআই অধিকর্তা পদে ফিরছেন অলোক বর্মা
শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন, সার্বিক সামাজিক নীতি, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থার বেসরকারীকরণের অভিযোগে সহ একাধিক দাবিতে দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। এদিকে, বনধের দিনে সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গল ও বুধবার বনধের এই দুদিন কোনও কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।