অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেখা যায়নি
নয়া দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (tmc) ও বিজেপির (Bjp) মধ্যে যে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) শাসিত পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হত্যার ঘটনাগুলি "অবিলম্বে শেষ" করতে বলার সমস্ত অধিকারই রয়েছে কেন্দ্রের। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারকে উপেক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গকেই (West Bengal) নিশানা করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে অমিত শাহ বলেন, রাজ্যের স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না কেন্দ্র, শুধু রাজ্যের লাগাতার ঘটে চলা রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধের ব্যাপারেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বিহারে এনসেফেলাইটিসে শতাধিক শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ করেন যে এ ব্যাপারে তো কেন্দ্র মাথা ঘামাচ্ছে না।এরই উত্তর অমিত শাহ জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেখা যায়নি।
চিটফান্ডকাণ্ডে তদন্তে রাজ্যে ২২ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (home minister) আরও বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড যাতে বন্ধ হয় তা দেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের "সাংবিধানিক দায়িত্ব" ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়ার সমস্ত অধিকার তাঁর রয়েছে।
“ডেরেক ওব্রায়েন আমার মন্ত্রকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে দু'বার পরামর্শ দিয়েছে। বিহারে এতগুলি শিশুমৃত্যুর পরেও কেন সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে নি আমার মন্ত্রক এ ব্যাপারেও তিনি আমায় প্রশ্ন করেন”। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোনো রাজ্যের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে, কিন্তু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নয় বলে জানান অমিত শাহ।
ডেরেক ও'ব্রায়েন যখন এ প্রশ্নও তোলেন যে কেন উত্তরপ্রদেশের বিষয়ে কেন হস্তক্ষেপ করা হয়নি, তখন অমিত শাহ বলেন পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে নাক গলায় নি কেন্দ্র। কিন্তু যেভাবে সে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার (political killings) ঘটনায় একের পর এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে তা বন্ধের ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেননা এভাবে একের পর এক রাজনৈতিক মৃত্যু গণতন্ত্রের কাছে একটা ভয়ের ব্যাপার।
“সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি”,প্রস্তাব আনতে বাম, কংগ্রেসের দ্বারস্থ তৃণমূল
"সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করার পরিবর্তে, আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যের শান্তি ফেরানোর জন্য আবেদন করব কারণ এটি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটি তাঁর অবিলম্বে করা উচিত এবং এ নিয়ে তাঁকে উপদেশ দেওয়ার অধিকার আছে আমার। এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলি একটি সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে হানিকারক। এগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত," বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির শাসন আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে রাজ্যসভায় বিতর্ক চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ওই মন্তব্য করতে শোনা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।