উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁকিনাড়ায় বোমার আঘাতে মৃত ১
হাইলাইটস
- উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁকিনাড়ায় বোমার আঘাতে এক জনের মৃত্যু হল
- ভোটের সময়ও গোলমাল হয়েছিল এই কাঁকিনাড়ায়
- এরপর আবারও উতপ্ত হয়ে উঠল কাঁকিনাড়া
কলকাতা: উত্তর চব্বিশ পরগনার কাঁকিনাড়ায় (Kankinara) বোমার আঘাতে এক জনের মৃত্যু হল। ভোটের সময়ও গোলমাল হয়েছিল এখানে। এরপর আবারও উতপ্ত হয়ে উঠল কাঁকিনাড়া। জানা গিয়েছে স্থানীয় বারুইপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে পরিবার এবং প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মহম্মদ মোক্তার (Md Muktar) । সে সময় তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় মোক্তারের। গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী। এদিকে গত দু'দিনের মধ্যে বসিরহাটে তিন জনের প্রাণ গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election) মেটার পরেও রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামছে না। বিরোধী শিবিরের দাবি পুলিশ ঠিক মতো কাজ না করাতেই এই পরিস্থিতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Union Home Ministry) তরফেও এই বার্তাই এসে পৌঁছেছে। এবার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিলেন পুলিশের কাজে প্রশ্ন আছে।
‘‘বিজেপি যা বলছে আপনারা তাই লিখছেন'': সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন মমতা
তিনি বলেন আমার কাছে খবর আছে একাংশের পুলিশ ঠিক করে কাজ করছে না। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। স্বভাবতই মমতার এ হেন স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি বিজেপি। দলের নেতা মুকুল রায় বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মন্ত্রীও। আর তিনি নিজেই বলছেন পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত। এই কাঁকিনাড়ার পাশেই আছে ভাটপাড়া। ভোটের আগে থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উতপ্ত ভাটপাড়া। কাঁকিনাড়াতেও গোলমাল হয়েছে। এবার তা আরও বড় আকার নিল। এদিকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই প্রথম মোদীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হল। দুপুরে দুটি বৈঠক করার পর এনডিটিভিকে কেশরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি।' এমনিতেই লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।