ভারতীয় বায়ুসেনার আক্রমণের পর পাকিস্তানের বালাকোটের জইশ ঘাঁটির উপগ্রহ চিত্র
নিউ দিল্লি: পাকিস্তানের বালাকোটে(Balakot) জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)-এর ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক হওয়ার পরের ছবি প্রকাশ করা হল। যে ঘাঁটির অনেকটা অংশ জুড়ে বিস্ফোরণের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া, ওই জইশ শিবিরের মাটিতেও রয়েছেও বিস্ফোরণের চিহ্ন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জইশের বালাকোটের ঘাঁটিতে বারোটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে আক্রমণ করে ভারত। যে বিমানগুলিতে ছিল স্পাইস ২০০০ বোমা। এনডিটিভি (NDTV) জানতে পেরেছে যে, ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)-এর নিক্ষেপ করা এই বোমাগুলি কোনও বড় ভবন বা স্থাপত্যকে নিমেষে ক্ষতবিক্ষত করে দিতে পারলেও, সবসময় যে তাকে গুঁড়িয়ে ধ্বংস করে দেবে, তা নয়।
সেনার যুদ্ধবিমান বিশেষজ্ঞ অঙ্গদ সিংহের কথায়, “স্পাইস ২০০০—এর মতো শক্তিশালী বোমার ভরটি মূলত তার আধারের ওপরেই দেওয়া থাকে। তাই এ কথাটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে, একটি ২০০০ আইবি শ্রেণির বোমা পাহাড়ের অর্ধেক অংশকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারবে”।
বুধবার সকালে সংবাদসংস্থা রয়টার্য এক উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারত সরকার জইশ-ই-মহম্মদের বালাকোটের ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়ার যে দাবি করছে, তা সত্য নয়।
ইস্ট-এশিয়া ননপ্রলিফারেশন প্রকল্পের অধিকর্তা জেফ্রি লুইস বলেন, “উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনকিছু পাওয়া যায়নি, যা থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যেতে পারে যে, সেখানে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল”। যদিও, হামলার আগে ও হামলার পরে জইশ শিবিরের উপগ্রহ চিত্রের অতি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের ফলে এই ইঙ্গিত মিলেছে যে ওই শিবিরের সবথেকে বড় স্থাপত্যটিতে অন্তত চারটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এছাড়া, ওই স্থানের মাটি এবং উপরিউক্ত ভবনটির আশেপাশটিরও কিছু ইঙ্গিতবাহী পরিবর্তন নজরে পড়েছে বিশেষজ্ঞদের।
এক অবসরপ্রাপ্ত উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ কর্নেল বিনায়ক ভাটের কথায়, “ছাদের ওপর চারটে কালো দাগ রয়েছে। মাটিতে পোড়া দাগ রয়েছে। তাঁবুগুলিও অদৃশ্য। তবে, দেওয়াল এবং ভবনটি অক্ষত রয়েছে”।
গত সোমবার বায়ুসেনার প্রধান বি এস ধানোয়া বলেছিলেন, “বিদেশসচিবের বিবৃতিতেই লক্ষ্যমাত্রাটির কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখবেন। আমরা যদি ঠিক করি, লক্ষ্যে আঘাত হানব, তবে, আমরা তা হানবই”।
তিনি অবশ্যও এই কথাটিও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, হামলার পর কত মানুষের মৃত্যু হল, সেই সংখ্যা গোনা ভারতীয় বায়ুসেনার কাজ নয়।