১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই মেলা আয়োজন করত বিশ্বভারতী।
পৌষমেলায় (Pous Mela) স্টল-মালিকদের একাংশ বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ‘‘গো ব্যাক'' ধ্বনি তুলল। উপাচার্য ও বিশ্বভারতীর অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা এদিন মেলার মাঠ খালি করতে উপস্থিত হন। আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্টল মালিকদের সংগঠন ‘বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি'র চুক্তি হয় মেলা চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু মেলার দোকানদাররা স্টল বন্ধ করতে রাজি হননি ২৬ তারিখের পরও। তাঁদের যুক্তি ছিল, বৃষ্টির কারণে শেষদিন লোক একেবারেই হয়নি মেলাতে।
ফলে ২৬ ডিসেম্বরের পরদিন শুক্রবারও তাঁরা স্টল খোলেন। শনিবার মেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপাচার্য। মেলা তুলে দিতে মাঠে নেমে সকলের আর্জি জানান তিনি। তখনই ব্যবসায়ী সমিতির একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ‘‘গো ব্যাক'' ধ্বনি তুলে বিক্ষোভ দেখান।
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুনীল সিংহ বলেন, পৌষমেলায় এবার বৃষ্টির কারণে ভাল ব্যবসা না হওয়ায় স্টল মালিকরা আর্জি জানিয়েছিলেন ব্যবসার ক্ষতি সামাল দিতে আরও দু'দিন তাঁদের মেলার মাঠে বসতে দেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা না বলে পুলিশ ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের স্টল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার জানান, মেলা বাড়ানোর কোনও উপায়ই ছিল না। তিনি সমালোচনা করেন স্টল মালিকদের তাঁদের প্রতি উদ্ধত আচরণের।
পৌষমেলা শুরু হয় ২৪ ডিসেম্বর। ১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মেলার সূচনা করেন। বিশ্বভারতী ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই মেলা আয়োজন করত।
‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল' বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছিল মেলার মাঠে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যেন সঠিকভাবে করা হয়। বিশ্বভারতী জানিয়ে দিয়েছিল এব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনজিটির কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল যে, ভুবনডাঙায় মেলার মাঠে কঠিন বর্জ্যের কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)