This Article is From Jun 24, 2019

লিচু নয়, এনকেফেলাইটিসে ১৫০ শিশুর মৃত্যুর কারণ দারিদ্র্য আর অপুষ্টি!

এনকেফেলাইটিসে বিহারের একাধিক জেলায় মোট ১৫০ শিশুর মৃত্যুর পর বিহার সরকার ও একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা একযোগে অবশেষে খুঁজে পেল এর নেপথ্য কারণ।

লিচু নয়, এনকেফেলাইটিসে ১৫০ শিশুর মৃত্যুর কারণ দারিদ্র্য আর অপুষ্টি!

৩৮৩টি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত বাচ্চার মধ্যে ২২৪ জন মেয়ে এবং ১৫৯ জন ছেলে

বিহার:

এনকেফেলাইটিসে (Encephalitis)  বিহারের একাধিক জেলায় মোট ১৫০ শিশুর মৃত্যুর পর বিহার সরকার (Bihar government) ও একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা একযোগে অবশেষে খুঁজে পেল এর নেপথ্য কারণ। সমীক্ষার পর উভয় পক্ষের প্রাথমিক অনুমান, লিচু নয় দারিদ্র্যই শিশু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। কারণ, পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ায় মৃত শিশুরা জন্ম থেকেই অপুষ্টির শিকার। ফলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা না জন্মানোয় সহজেই এদের শরীরে থাবা বসাতে পেরেছ এনকেফেলাইটিস। এবং একই কারণে রোগের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা ছিল না তাদের।

ইতিমধ্যেই বিহারের মুজফফরপুর জেলার ২৮৯টি পরিবারকে সামাজিক-অর্থনৈতিক জরিপের আওতায় আনা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ২৮০টি পরিবার রয়েছে দারিদ্র্যসীমার নীচে। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মজুর। এবং কোনোমতে রোজের রুটিটুকু তাঁরা জোগাড়ে সক্ষম। 

ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভেঙে মৃত ১৪, আহত বহু

এই পরিবারগুলির মাত্র ২৯ জন মেয়ে শিশু প্রধানমন্ত্রীর কন্যা উত্থান যোজনার আর্থিক সহায়তার আওতাভুক্ত। ইন্দিরা আবাস বা প্রধানমন্ত্রীর হাউজিং স্কিম সুবিধা পায় মাত্র ৯০টি পরিবার।

সমীক্ষায় আরও জানা গেছে, অন্ন সংস্থানের জোগান ঠিক মতো না হলেও এঁদের বাচ্চার সংখ্যা মাথাপিছু প্রতি পরিবারে তিনটি। এদের মধ্যে  রেশন কার্ড নেই ৯৬ জনের। এবং গত মাসে রেশন পায়নি ১২৪টি পরিবার। মুজফফরপুরের হাসপাতালে তাদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেয়েছে ১৫৯ টি পরিবার।

Budget 2019: শিল্প বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী

এদিকে বুধবার পর্যন্ত ৩৮৩ জন একেফেলাইটিস রোগে মৃতদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ২২৩ এবং পুরুষ 159 ১৫৯ জন। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। এবং এরা লিচুবাগানে যেত না। বরং আক্রান্তদের এক বিশাল সংখ্যাক (৯৭ শতাংশেরও বেশি) হিপোগ্ল্যাসেমিয়া বা রক্তের চিনির মাত্রা কমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।

প্রসঙ্গত, এনকেফেলাইটিস হল একধরনের সংক্রমণ যার থেকে ব্রেন বা মস্তিষ্কে জ্বর উঠে যায়। অনেক জীবাণুর একসঙ্গে আক্রমণের ফলে এই রোগ দেখা দেয়। রোগের লক্ষ্মণ, হাই ফিভার, বমি। রোগ মারাত্মক আকার নিলে পক্ষাঘাত বা কোমা চলে যেতে পারেন রোগী।

.