কিশোরী মেয়েদের স্তন গঠনে যাতে বিলম্ব হয় তাই একটি গরম পাথর দিয়ে মেয়েদের বুকে ইস্ত্রি করে দেওয়া হয়
লন্ডন: কিশোরী মেয়েদের স্তন গঠনে যাতে বিলম্ব হয় তাই একটি গরম পাথর দিয়ে মেয়েদের বুকে ইস্ত্রি করে দেওয়া হয়। আফ্রিকান উপজাতির এই মারাত্মক প্রথা সম্প্রতি ঢুকে পড়ছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যেও। কম বয়সী মেয়েদের দিকে যাতে অযাচিত পুরুষের মনোযোগ না যায় বা যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণ থেকে অল্প বয়স্ক মেয়েদের ‘সুরক্ষিত' করার জন্য নৃশংস এই প্রথা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মানুষও মেনে নিতে শুরু করেছেন!
দ্য গার্ডিয়ান সূত্রের খবর, লন্ডন, ইয়র্কশায়ার, এক্সেক্স এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে নানান কর্মীরা সংবাদপত্রকে জানিয়েছে যে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রাক-কৈশোরের মেয়েদের এমন বেদনাদায়ক, অবমাননাকর এবং ভ্রান্ত প্রথার শিকার হতে হয়। লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসা সম্পর্কিত পাঁচটি বিশ্বব্যাপী অপরাধের মধ্যে জাতিসংঘ এই প্রথাকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।
২০২৩ এর মধ্যেই স্মার্টফোনে অর্ডার করতে পারবেন পরিবহণের বিল্পব এই ‘উড়ন্ত গাড়ি'
এই উপজাতিদের মেয়েদের মায়েরাই সাধারণত, এটি একটি ঐতিহ্য বলে বিবেচনা করে যা মেয়েদের পুরুষের অযাচিত মনোযোগ, যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণ থেকে রক্ষা করে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এবং নির্যাতিতরা একে শিশু নির্যাতনের একটি অংশ হিসেবেই মনে করে যা শারীরিক ও মানসিক আঘাত, সংক্রমণ, পরবর্তীতে বুকের দুধ খাওয়ানোর অক্ষমতা, বিকৃতি এবং স্তন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
এক সমাজকর্মী এই দৈনিককে জানান যে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের ক্রোডন শহরেও ১৫ থেকে ২০ টি এমনই সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। তিনি বলেন, “সাধারণত বিদেশের অন্য জায়গায় মহিলাদের যৌনাঙ্গ ছেদন করা হয়। তবে এখানে তেমন শোনা যায় না।” তিনি জানান, এই প্রথায় মেয়েদের মা, মাসিমা বা ঠাকুমা দিদিমারা গরম পাথর দিয়ে স্তন ঘষে দেন যাতে স্তনের টিস্যু ভেঙে যায় এবং স্তনের বৃদ্ধি ধীরে ধীরে হয়। তিনি আরও জানান, “কখনও কখনও তাঁরা সপ্তাহে একবার বা দু'সপ্তাহে একবার করে করেন।"
মদের ঘোরে সেলফি! ৮০০ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে প্রাণ হারালেন ভারতীয় এই দম্পতি
নারী এবং মেয়েদের উন্নয়ন সংস্থার (Cawogido) প্রধান মার্গারেট ন্যুডজেউইরা জানান যে, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের অন্তত ১০০০ জন নারী ও মেয়েদের উপরে এই প্রথা চাপানো হচ্ছে বলেই খবর। কিন্তু কোনও পদ্ধতিমূলক গবেষণা বা আনুষ্ঠানিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি এখনও।
ব্রিটিশ-সোমালি অ্যন্টি-এফজিএম প্রচারণা সদস্য ও মনোবিজ্ঞানী লেয়লা হুসেইন গার্ডিয়ানকে জানান যে, তিনি উত্তর লন্ডনের একটি ক্লিনিকে পাঁচজন মহিলার সাথে কথা বলেছিলেন যাদের এভাবেই স্তন ইস্ত্রি করে দেওয়া হয়েছে। লেয়লা হুসেইন বলেন, “তাঁরা সবাই ব্রিটিশ নাগরিক এবং এই কাজের ফলে একজন মহিলার স্তন সমতল হয়েও পড়ে। উলভারহ্যাম্পটনের গির্জা মন্ত্রী মেরি ক্লাইরে জানান, তিনি লিডসে মূলত পশ্চিম আফ্রিকার বাসিন্দা চারজন ব্যক্তির সাথে কথা বলেছিলেন। তাঁদেরও এই চিহ্ন স্পষ্ট। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের কাছে ব্রিটেনের ব্রেস্ট আইরনিং সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)