অটল বিহারি বাজপেয়ির দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতায় একথা বলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি
নয়াদিল্লি: নির্বাচনে জনতা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে একটি “স্থায়ী” সরকার গড়ার অধিকার দেয়, “সংখ্যাগরিষ্ঠতা” নয়, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলা প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মাঝেই বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee) । নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে অটল বিহারি বাজপেয়ির দ্বিতীয় স্মারক বক্তৃতায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, “নির্বাচনে গাণিতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা স্থায়ী সরকার গড়ার অধিকার দেয়। জনপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার হয়ে উঠতে দেয় না। এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের বার্তা এবং সারাংশ”। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে, ১৯৫২ থেকে বিভিন্ন দলকে “শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা” দিয়েছে জনতা, কোনও দলই ৫০ শতাংশ ভোট পায়নি।
লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোটের ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী ভোট পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেসের, ১৯৮৯-এ তারা পেয়েছিল ৩৯.৫ শতাংশ ভোট।
বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৩০৩, কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৫২টি।
বুধবার রাতে, নাগরিকত্ব বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, তারপর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সমালোচকদের দাবি, প্রতিবেশী তিন দেশের অমুসলিম নাগরিকদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্রস্বস্ত করার এই আইন সংবিধানে উল্লেখ করা ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।
এর আগে এদিনই, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের কাছে আইনটি “মানিয়ে নেওয়ার' আবেদন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তিনি বলেন, “কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও আইন নেই”। পাশাপাপাশি বিক্ষোভকারীদের কাছে অমিত শাহের বার্তা, তাঁদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা, একইসঙ্গে কংগ্রেস, দিল্লির আম আদমি পার্টি, বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে “হিংসার আবহ তৈরির” অভিযোগ তোলেন তিনি।
দিল্লিতে আগামী বছর এবং পশ্চিমবঙ্গে ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার অমিত শাহ বলেন, “আজ, এই মঞ্চ থেকে আমি পড়ুয়াদের কাছে আবেদন জানাব, আপনারা নাগরিকত্ব বিল মেনে নিন। কারও নাগরিত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নেই। কংগ্রেস, আপ এবং তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে এবং দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে”।