Read in English
This Article is From Apr 10, 2020

সংক্রমণ ও লকডাউনে কতটা প্রভাবিত হবে অর্থনীতি! রঘুরাম রাজনের থেকে জানলেন প্রণয় রায়

প্রশ্ন উঠছে, সংক্রমণ ও তার আবহে চলা লকডাউনে কতটা প্রভাবিত হবে দেশীয় অর্থনীতি? এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতামত জানলেন ড. প্রণয় রায়। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

প্রাক্তন আরবিআই প্রধান রঘুরাম রাজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এনডিটিভির সম্পাদক ড. প্রণয় রায়

Highlights

  • লকডাউন আর সংক্রমণে কতটা প্রভাবিত হবে অর্থনীতি?
  • রঘুরাম রাজনের থেকে জানলেন ড. প্রণয় রায়
  • ইউএস ও ইউরোপে ঋণাত্মক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি
নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গোটা বিশ্বে কমবেশি লকডাউন (Lockdwon) চলছে। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে (Financial Crisis)। মন্দার মুখ দেখবে বিশ্ব অর্থনীতি। এমন ইঙ্গিত দিয়েছে একাধিক সংস্থা। সেই মন্দার হাত থেকে রেহাই পাবে না ভারত, ঘুরিয়ে এই অবস্থান  স্পষ্ট করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত ২৩ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি সংসদীয় সব দলের বৈঠকে সেই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে, ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার প্রশ্ন উঠছে, সংক্রমণ ও তার আবহে চলা লকডাউনে কতটা প্রভাবিত হবে দেশীয় অর্থনীতি? এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের (Raghuram rajan) মতামত জানলেন ড. প্রণয় রায়। 

দেখে নিন সেই সাক্ষাৎকারের ঝলক:

  • যেভাবে ইতালি আর ইউএস-এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তেমন ভাবে এদেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বিপদ। দেখুন ওই দেশে জনস্বাস্থ্য কীভাবে ভেঙে পড়েছে। চাপ বেড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়। ফলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হচ্ছে শয়ে-শয়ে মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি সচল রাখা কষ্টকর। তাই আমাদের সেই পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। সংক্রমণ কমাতেই হবে। 
  • আমাদের সৌভাগ্য বিপদ বুঝে ব্যবস্থা নিতে পেরেছি। সেই ব্যবস্থার জেরেও এখনও সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে। সেই সতর্কবার্তা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। 
  • অবশ্যই মন্দার মুখে পরবে বিশ্ব অর্থনীতি। একাধিক সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া, খানিকটা সেই মন্দার ইঙ্গিত। চিনের লকডাউনের জেরে প্রথম ৩ মাসে প্রায় ৩৫% কমেছে জিডিপি। ওরা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। ৯৫% কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক ক্ষেত্র আছে, যারা কাজ শুরু করতে পারেনি। 
  • ইউএস আর ইউরোপে কমবে বৃদ্ধির হার। প্রস্তাবিত ছিল ইউএস-এ ২-২.৫% আর ইউরপে ১.৫% বৃদ্ধি। কিন্তু তা প্রভাবিত হবে। ঋণাত্বক হয়ে যেতে পারে বৃদ্ধি। প্রভাবিত হবে জিডিপির হারও। 
  • তবে  বৃদ্ধি কমলেও ধনাত্মক থাকবে ভারতে জিডিপি। অর্থনীতি সচল রাখতে ও সংক্রমণ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর কার্যকারিতার ওপর অনেকিছু নির্ভরশীল। 
  • আর্থিক পরিস্থিতি ঊর্ধ্বগতির ভারসাম্যের তারতম্য শিল্প-শিল্পের বিচারে ঘটবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে অটোমোবাইল শিল্পে সংস্কার আনলে, অনেক মানুষ কাজে ফিরতে পারবেন। উৎপাদিত হবে গাড়ি। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, কতজন মানুষ গাড়ি কেনার দিকে ঝুকবেন। তাঁরা জানেন গণপরিবহনে যাত্রা এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তাও কি তাঁরা ঝুঁকি নেবেন?  আমরা এসব কিছুই জানি না। এর ফলে অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে। 

  • আমরা এখন অনেকেই প্রযুক্তি-নির্ভর। অনেকের হাতেই নানারকমের যন্ত্র। ফলে এই শিল্পে সংস্কার আনলেও অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে। 

Advertisement