২০১৮ সাল থেকে জেডিইউয়ের সহ সভাপতি ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
পাটনা: পবন ভার্মা (Pavan Varma) ও প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) বহিষ্কার করা হল বিহারের শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) থেকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধের পর অবশেষে দল থেকে সরে যেতে হল তাঁদের। মঙ্গলবারই নীতীশ কুমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অবশেষে সেটাই সত্যি হল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দলের অবস্থান নিয়ে মতবিরোধ চলছিল দু'জনের। ২০১৮ সাল থেকে জেডিইউয়ের সহ সভাপতি ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। দলের গুরুত্বের বিচারে নীতীশ কুমারের পরেই তাঁর অবস্থান ছিল। বুধবার সকালে এক দলীয় নেতা প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মারাত্মক করোনা ভাইরাসের তুলনা করে জানিয়েছিলেন, তাঁর কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রশান্ত কিশোর টুইট করে জানান, ‘‘ধন্যবাদ নীতীশ কুমার। আমার শুভাকাঙ্ক্ষা রইল যেন আপনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।'
সেই নেতার নাম অজয় অলোক। তিনি সরাসরি প্রশান্ত কিশোরকে ‘বিশ্বাসযোগ্য নন' বলে অভিযোগ করেন।
দলের প্রাক্তন মুখপাত্র অজয় বলেন, ‘‘এই মানুষটি বিশ্বাসযোগ্য নন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ও নীতীশজি কারওই বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি। তিনি আপের হয়ে কাজ করতেন। কথা বলতেন রাহুল গান্ধির হয়ে। বসতেন মমতা দিদির সঙ্গে। কে ওঁকে বিশ্বাস করবেন? আমরা সুখী এই করোনা ভাইরাস আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন। ওঁর যেখানে খুশি উনি চলে যেতে পারেন।''
পবন ভার্মা একটি খোলা চিঠিতে নীতীশ কুমারকে লিখেছিলেন, ‘‘এটা একটা দুঃখের দিন যখন জেডিইউ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে এবং আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে কঠিন প্রশ্নের সামনে পড়ে।''
মঙ্গলবার দলীয় নেতা ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর নীতীশ কুমার প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে বললেন, ‘‘রহেগা তো ঠিক, নেহি রহেগা তো ঠিক।'' প্রশান্তকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রবীণ নেতা বলেন, ‘‘উনি এরই মধ্যে অন্য দলের কৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাই। যদি উনি দলে থাকতে চান, তাহলে তাঁকে দলের গঠন সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।''
প্রশান্তকে বিঁধে নীতীশ কুমার আরও জানান, ‘‘জানেন উনি কী করে দলে এসেছিলেন? অমিত শাহ আমাকে বলেন ওঁকে নিতে। উনি নিশ্চয়ই কিছু ভাবছেন। সম্ভবত উনি বেরিয়ে যেতে চান।''
এর জবাবে প্রশান্ত কিশোর টুইট করে নীতীশের এহেন মন্তব্যের সমালোচনা করেন।