CAA-র তীব্র বিরোধিতা করেন Prashant Kishor
হাইলাইটস
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন প্রশান্ত কিশোর
- "হিম্মত থাকলে ওই আইন প্রয়োগ করে দেখান অমিত শাহ", বললেন তিনি
- মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই আইন প্রত্যাহার করা হবে না
পাটনা: এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) উপপ্রধান ও নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। মঙ্গলবার লখনউয়ের এক সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ করে অমিত শাহ বলেন যতই প্রতিবাদ হোক দেশ জুড়ে কার্যকর হবে সিএএ (Citizenship Amendment Act)। এবার সেই অমিত হুঙ্কারের পাল্টা হিসাবে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) চ্যালেঞ্জ,"হিম্মৎ থাকলে সিএএ (CAA) ও এনআরসি (NRC) প্রয়োগ করে দেখান"। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাই-ই হয়ে যাক, ওই আইন প্রত্যাহার করবে না সরকার।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “জনগণের মতামত না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি সরকারের শক্তি হতে পারে না। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের জন্য যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা না থাকে, তাহলে যেভাবে এতদিন প্রচার করে আসছেন সেভাবেই সিএএ ও এনআরসি লাগু করে দেখান।”
CAA: নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
যদিও গোটা দেশে হওয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকে উপেক্ষা করেই গত ১০ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র জানায় যে ওই দিন থেকেই দেশে এই আইন লাগু করা হল।
লখনউতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মঙ্গলবার এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় যোগ দিয়েই বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দিকে সিএএ নিয়ে নাগরিক বিতর্ক সভা আয়োজনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ।
CAA & NRC: গুণে গুণে মোদি-অমিত শাহের ৯টি মিথ্যে ধরালো কংগ্রেস!
মঙ্গলবার লখনউয়ের সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যে, যাই-ই হয়ে যাক না কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে প্রয়োগ করা হবেই।
ওই সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগেন মোদি মন্ত্রিসভার প্রথম সারির মুখ অমিত শাহ। বিরোধীরা এই আইনের "প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাচ্ছেন না কারণ তাঁদের চোখ ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির মুখোশে আটকা রয়েছে", বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "এই কথা সকলকে জানিয়ে রাখি, এই আইনটি কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না, যে যতই প্রতিবাদ করুন না কেন... আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না, আমরা বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছি"।
এর আগেও বারবার এই আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জনতা দলের এই সহ-সভাপতি। এই বিষয়ে নীতীশ কুমারের দলের অন্দরেই বিরোধ দেখা যায়। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির ক্ষেত্রে বিজেপিকে প্রথমে সমর্থন জানিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। তারপরেই তাঁর দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর ও আর এক নেতা পবন বর্মা সবার সামনে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তারপরে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশই হলেন বিজেপির প্রথম জোটসঙ্গী যিনি এই দুই আইনের বিরোধিতা করেন।