हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Mar 30, 2020

বিহারের অভিবাসী শ্রমিকদের আটকে রাখার ‘ভীতিপ্রদ’ ভিডিও প্রকাশ প্রশান্ত কিশোরের

এক শ্রমিক আর্জি জানান, ‘‘দয়া করে আমাদের বেরোতে সাহায্য করুন। কিচ্ছু চাই না। কেবল আমাদের যেতে দিন।’’ আশপাশে থাকা অন্য শ্রমিকদের কাঁদতে দেখা যায়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে শ্রমিকরা কাঁদছেন ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছেন।

Highlights

  • প্রশান্ত কিশোর অভিবাসী শ্রমিকদের একটি ভিডিও শেয়ার করেন
  • বিহারের ওই শ্রমিকদের ভিডিওতে বন্দি অবস্থায় থাকতে দেখা গিয়েছে
  • তাঁরা হাতজোড় করে মুক্তির প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হোক
Patna:

নির্বাচনি কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) একটি ভিডিও শেয়ার করলেন টুইটারে। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে বিহারের (Bihar) অভিবাসী শ্রমিকদের। ওই শ্রমিকরা পেটের দায়ে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। বিশেষ বাসে করে বিহারে ফেরানো হয়েছে তাঁদের। ভিডিওতে সেই শ্রমিকদের আটকে রাখতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা কাঁদছেন ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) অভিযুক্ত করে তিনি একে ‘ভীতিপ্রদ ছবি' বলে বর্ণনা করেন। তিনি টুইট করেন, ‘‘করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে মানুষকে মুক্ত করতে সরকারি প্রচেষ্টার আরও এক ভীতিপ্রদ ছবি। গরিব অভিবাসীরা যাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু কষ্টে ফিরেছেন তাঁদের সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারান্টাইনের জন্য এমন হৃদয় বিদারক বন্দোবস্ত করেছেন নীতীশ কুমার।''

জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল অভিবাসী শ্রমিকদের উপরে, সমালোচনা প্রিয়ঙ্কা গান্ধির

জানা যাচ্ছে, ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী সিওয়ানের। বিহারের রাজধানী পটনা থেকে ১৩০ কিমি দূরে অবস্থিত।

Advertisement

সাংবাদিককে মুখো রুমাল বাঁধা এক শ্রমিক জানাচ্ছেন, ‘‘সকাল থেকে ওরা বলেছে তোমাদের ছেড়ে দেব। বাস আসছে। কিন্তু কোনও বাসই আসেনি। ওরা আমাদের যেতে দিচ্ছে না।''

তিনি আর্জি জানাচ্ছেন, ‘‘দয়া করে আমাদের বেরোতে সাহায্য করুন। আমরা কিচ্ছু চাই না। কেবল আমাদের যেতে দিন।'' ওই ব্যক্তির আশপাশে থাকা অন্য শ্রমিকদের কাঁদতে দেখা যায়।

Advertisement

২১ দিনের লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর জল্পনা ওড়ালো কেন্দ্রীয় সরকার

পুলিশের বক্তব্য এই সব অভিবাসী শ্রমিকদের স্বাধীন ভাবে ঘুরতে দেওয়া যাবে না। সিওয়ানের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট অভিনব কুমার জানাচ্ছেন, ‘‘অনেক ফরম্যালিটি থাকে। যেমন প্রত্যেকের বিস্তারিত বিবরণ নেওয়া, তাঁদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা ও খাদ্য সরবরাহ করা। ছেড়ে দেওয়ার আগে এগুলো করতে সামান্য সময় তো লাগবেই। আমরা বুঝতে পারছি ওরা তাড়াহুড়োয় রয়েছে।''

Advertisement

প্রসঙ্গত, বিহারের শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেড থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে প্রশান্ত কিশোর নিয়মিত নীতীশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে নানা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

গত মঙ্গলবার লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বহু অভিবাসী শ্রমিকরা এর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েন।

Advertisement

যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁদের হেঁটেই বহু দূরের গন্তব্যের দিকে পাড়ি দিতে দেখা যায়। তবে রাজ্যে ফেরার পরে বিহারের মতো রাজ্যে শ্রমিকদের বড় সমস্যায় পড়তে হয়েছে। একসঙ্গে এত শ্রমিক রাজ্যে চলে আসায় সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বড় ক্ষতি হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝা।

ওই সব শ্রমিকদের ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে। 

Advertisement