Delhi Elections 2020: প্রশান্ত কিশোর টুইট করে অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- অমিত শাহের ইভিএম মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোর
- ভালোবেসেই বোতাম টিপুন, তাতেই জোর ধাক্কা লাগবে, অমিত শাহকে কটাক্ষ তাঁর
- এর আগে অমিত শাহ বলেন, "এত জোরে বোতাম টিপুন যাতে শাহিনবাগ কারেন্ট খায়"
নয়া দিল্লি: অমিত শাহের (Amit Shah) ইভিএম মন্তব্যের জবাব বেশ কটাক্ষ করে দিলেন জেডিইউ নেতা তথা দিল্লির আসন্ন নির্বাচনে আম আদমি পার্টি রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। তিনি (Prashant Kishor) বলেন, "৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে (Delhi Elections 2020) ইভিএমের বোতাম বেশ ভালোবেসে ধীরে সুস্থেই টেপা উচিত। দেশের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি যাতে বিপন্ন না হয় সেজন্য জোর ধাক্কা ধীরেই আসা উচিত"। ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন, ফল ঘোষণা ১১ ফেব্রুয়ারি, তার আগে এই নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক নেতাদের বাগযুদ্ধে চড়চড় করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এর আগে দিল্লির বাবরপুরে এক নির্বাচনী (Delhi Assembly Elections 2020) সমাবেশ থেকে অমিত শাহ বলেন, "আপনি যখন ৮ ফেব্রুয়ারি বোতাম (ভোটদানের মেশিনে) টিপবেন, তখন সেটি সমস্ত রাগ জড়ো করে টিপুন যাতে তা হাড়ে হাড়ে টের পায় বর্তমান শাহিনবাগ"। এরই জবাবে ইভিএমের বোতাম ভালোবেসে টেপার কথা বললেন প্রশান্ত কিশোর।
CAA: "এত জোরে বোতাম টিপুন যাতে শাহিনবাগ কারেন্ট খায়", বললেন অমিত শাহ
এদিকে, বিজেপি এবং জেডিইউ একসঙ্গে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জেডিইউ এখানে দুটি আসনে লড়ছে। বিজেপির এক সময়ের জোট শরিক শিরোমণি আকালি দল সিএএর প্রতিবাদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে মতবিরোধ দেখা গেছে জেডিইউ-য়ের অভ্যন্তরে। জেডিইউ নেতা পবন ভার্মা বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে দলীয় প্রধান নীতীশ কুমারের কাছে একটি চিঠিতে নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে সম্প্রতি জেডিইউ ২০ জন তারকা প্রচারকের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে নাম নেই প্রশান্ত কিশোর এবং পবন ভার্মার । যদিও ঝাড়খণ্ডে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-য়ের তারকা প্রচারকদের তালিকায় ছিলেন প্রশান্ত কিশোর।
শাহিনবাগ নিয়ে অমিত শাহর মন্তব্যের সমালোচনা পি চিদাম্বরমের
আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবারও নয়া দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত শুক্রবার থেকেই তিনি জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় তিনি নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও রোড শো করে চলেছেন। কেজরিওয়াল আশা করছেন, দিল্লিতে আবারও আপ সরকার গঠিত হতে চলেছে। এবার দিল্লি নাম নয়, কাজে ভোট দেবে, মনে করছেন আপ প্রধান। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন যে শেষবার তিনি ৬৭ টি আসনে জিতেছিলেন কিন্তু এবার আপ দিল্লি বিধানসভার ৭০ টির আসনের মধ্যে ৭০টি আসনই পাবে। বিজেপি এবং কংগ্রেস একটি আসনও জিততে পারবে না দিল্লিতে, এমনটাই দাবি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।