প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ২০২০ সালে হতে চলা দিল্লি নির্বাচনের জন্য আম-আদমি পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ
নয়াদিল্লি: জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরীকে (BJP's Hardeep Puri) ঘুরিয়ে বিঁধলেন। "ওর মতো বড় নেতা, কেন আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে চিনবেন?" কটাক্ষের সুরে এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুক্রবার কেন্দ্রীয় ওই মন্ত্রী বলেছিলেন, "আমি প্রশান্ত কিশোরকে সেভাবে চিনি না।" তার জবাবই এদিন ঘুরিয়ে দিলেন প্রশান্ত কিশোর, দাবি সূত্রের। শনিবার তিনি বলেন, "হরদীপ সিং পুরীজি ঠিক। তিনি একজন প্রবীণ মন্ত্রী। তিনি কেন আমার মতো একজন সাধারণ মানুষকে চিনবেন? কিন্তু আমি ওকে চিনি, ওর মন্ত্রক নগর-আবাসন দফতরের কাজের সূত্রে। যা আগামী দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "শুধু একজন মন্ত্রীকে না, আমরা বিজেপির বুথ-স্তরের নেতারও খবর রাখি। আমরা বিশ্বাস করি ওদের শক্তি এবং দুর্বলতা জেনে রাখা ভালো। ওদের আর আমাদের নির্বাচনে লড়ার কৌশল আলাদা।" তাঁর আরও কটাক্ষ, "আমার মতো বহু মানুষ উত্তরপ্রদেশ আর বিহার থেকে এসে দিল্লিতে জীবন যুদ্ধে জিততে সংগ্রাম করছেন। এদের সবাইকে চেনা হরদীপ পুরীজির পদ এবং মর্যাদার বিরোধী।"
ভোটপ্রার্থী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক এবার ২০২০ সালে হতে চলা দিল্লি নির্বাচনের জন্য আম-আদমি পার্টির (আপ) হয়ে চুক্তিবদ্ধ। এই দল ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রচার কর্মসূচি সেরে ফেলেছে। "আচ্ছে বীতে পাঁচ সাল, লগে রহো কেজরিওয়াল।" এমন প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া। আপ সূত্রে খবর, সেই ফাঁকেই এদিন বিজেপিকে খানিকটা চাপেই রাখলেন প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার হরদীপ পুরী এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরকে চেনেন কি না, এমন প্রশ্নে খানিকটা অবজ্ঞার সুরে বলেছিলেন, "ওই ছেলেটা, যে রাষ্ট্রসংঘে কাজ করতো? না তাঁকে সেভাবে চিনি না। তবে ও বা ওর সংস্থা কোনও ভাবেই আগামী দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির কাঁটা হবে না।" এই অবজ্ঞার জবাব এদিন প্রশান্ত কিশোর ঘুরিয়ে দিলেন বলেন দাবি বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে রেখেছেন তাঁর রাজ্যে এনআরসি লাগু হবে না।
ইতিমধ্যে আই-প্যাক পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে। চলতি বছর অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছিলো আই -প্যাক। সেই ভোটে জিতে এখন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। এখন দিল্লিতে আপকে দ্বিতীয়বার জেতাতে কতটা কার্যকরী হয় আই-প্যাকের প্রচার তা সময় বলবে।
তবে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে তৎকালীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির হয়ে প্রচার করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সে বার তাঁর 'চায়ে পে চর্চা' বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।