This Article is From Sep 05, 2019

Mother Teresa: ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘মাদার’ স্মরণ ‘সিটি অফ জয়’-এর

গত মাসেই পালিত হয়েছিল তাঁর জন্মবার্ষিকী। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজ কলকাতায় তাঁর ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁরই বাসভবনে প্রার্থনায়, গানে আরও একবার স্মরণ করা হল সন্ত মাদার তেরেসাকে (Mother Teresa)।

Mother Teresa: ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘মাদার’ স্মরণ ‘সিটি অফ জয়’-এর

২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মাদার স্মরণ

কলকাতা:

গত মাসেই পালিত হয়েছিল তাঁর জন্মবার্ষিকী। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজ কলকাতায় তাঁর ২২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁরই বাসভবনে প্রার্থনায়, গানে আরও একবার স্মরণ করা হল সন্ত মাদার তেরেসাকে (Mother Teresa)। প্রতিবছরের মতো এবছরে ৫ সেপ্টেম্বর নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মাদারকে তাঁর ভক্তরা স্মরণ করেন। তাঁর আশীর্বাদ চেয়ে প্রার্থনা করেন। সমাধিস্থলে ফুল, মালা, মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

Mother Teresa Birth Anniversary: প্রার্থনায়-স্মরণে উদযাপিত মা টেরেসার ১০৯ তম জন্মবার্ষিকী

এইদিন সবাই নতুন ভাবে স্মরণ করেন সেই মাকে, যিনি মাদার টেরেসা শহরের সমস্ত দরিত্র, অসহায়, অসুস্থ, নিপীড়িত মানুষের ‘মা' হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর আশ্রয়ে অনাথ শিশুরা প্রতিপালিত হত অতি যত্ন আর মমতায়। আজ শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে শ্রদ্ধা জানান মাদারকেও।

তিনি লেখেন, "১৯৯৭ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর মাদার টেরেসা আমাদের ছেড়ে চলে যান।তাঁর সেবাকাজ তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে আগামী প্রজন্মের কাছেও।"

১৯১০ সালের ২৬ অগাস্ট আলবানিয়ার স্কোপজে-তে এক অভিজাত পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন অ্যাগনেস গঙ্কক্সহা বোজাক্সহিউ। মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্বপ্নে প্রভু যীশুর আদেশ পেয়ে তিনি সংসার ত্যাগ করে যোগ দেন আয়ারল্যান্ডের সিস্টার অফ লোরেটোতে। তখন থেকেই তিনি সন্ন্যাসিনী মাদার টেরেসা। ১৯২০ সালে তিনি চলে আসেন ভারতে। এবং ১৫ বছর ধরে কলকাতার সেন্ট. মেরিস হাই স্কুলে ভূগোল ও ইতিহাস পড়ান।

Mother Teresa on 21st death anniversary: মৃত্যুদিনে মাদারকে স্মরণ মমতার

মায়ের সম্বন্ধে জানাতে গিয়ে এক সন্ন্যাসিনী আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, নাম-যশ-অর্থ-খ্যাতির লোভে নয়, প্রভু যীশুর বাণী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন বলেই নিজের সুখ-শখ বিসর্জন দিয়ে জীবন সঁপে দিয়েছেন পরের সেবায়। হত দরিদ্র মানুষের কাছে তিনি ছিলেন আশার আলো। যে সমস্ত শিশু জন্মের পরেই মাতৃ-পরিত্যক্ত, কিংবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে যারা বোঝা, তাঁদের তিনি অনায়াসে কোলে তুলে নিয়েছেন হাসিমুখে।

কিন্তু শিক্ষকতার জীবন বেশিদিন ভালো লাগেনি মাদারের। তিনি যে মানব সেবায় নিজেকে সমপর্ণ করেছেন! তাই ১৯৪৮ সালে চার্চ ছেড়ে তিনি নেমে আসেন পথে। পাকাপাকিভাবে তাঁর ঠিকানা হয় বস্তি। যেখানে হতদরিত্র মানুষেরা পশুর মতো জীবন যাপন করেন, সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেন মাদার। তাঁদের দুঃখকষ্ট কাছ থেকে অনুভব করবেন বলে। তাঁদের যন্ত্রণা নিজের হাতে মুছিয়ে দেবেন বলে। তাঁর সেই সেবার নিদর্শন হিসেবে ১৯৫০ সালে রোমান ক্যাথলিক আদর্শে গড়ে ওঠে সিস্টার অফ চ্যারিটি।

মাদার টেরেজা 'ভারতরত্ন' পেলেন, একজন সাধু পেলেন না এই সম্মান, বললেন রামদেব

১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কার কমিটি তাঁকে সম্মানিত করতে চাইলে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে পরিবর্তে মাদার পুরস্কারের অর্থ দেওয়ার অনুরোধ জানান। যাতে সেই অর্থ দরিদ্রদের সেবায় ব্যয় করতে পারেন। ২০১৭ সালে ভ্যাটিকান সিটি থেকে পোপ তাঁকে 'সন্ত' উপাধি দেন।

১৯৯৭-এ ৮৭ বছরে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর দেহাবসানের পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল।

.