উত্তর পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৩৮ শতাংশ।
হাইলাইটস
- শুধু মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে দেশে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ২৭ শতাংশ!
- রাজ্য থেকে শুরু করে দেশ সমস্ত জায়গায় বাড়ছে গরম
- নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন প্রার্থীরা ও দলীয় কর্মীরা
নিউ দিল্লি: গত কয়েকদিনে দেশের নির্বাচনী উত্তাপকে সমানে টেক্কা দিচ্ছে প্রাকৃতিক উত্তাপ। রাজ্য থেকে শুরু করে দেশ সমস্ত জায়গায় বাড়ছে গরম। নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন প্রার্থীরা ও দলীয় কর্মীরা । এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের আবহাওয়া দপ্তরের (Met Department) তরফে জানানো হল প্রাক বর্ষা মরসুমে (Pre Monsoon Season) শুধু মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে স্বাভাবিকের থেকে ২৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মার্চের এক তারিখ এ মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৪৩.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই বৃষ্টির পরিমাণ ৫৯.৬ মিলিমিটার হওয়া উচিত ছিল। এবারের প্রথম ‘লং রেঞ্জ ফোরকাস্টে' সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছিল মৌসম ভবন। কিন্তু তা মিলল না।
ভোটের মাঝেই সাইক্লোন! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফেনি, কড়া সতর্কতা জারি
উত্তর পশ্চিম ভারতে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৩৮ শতাংশ। তার মানে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব, জম্বু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। এরপরেই আছে দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্য। একইভাবে গোয়া এবং মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ ৩১ শতাংশ। পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কম, ২৩ শতাংশের কাছাকাছি। শুধু মধ্যভারতের বৃষ্টি স্বাভাবিক পরিমাণের থেকে বেশি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে বৃষ্টি এবং বাজ পড়ার ঘটনায় 50 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুখা মরসুম ভারতে? ২০১৯ সালে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল স্কাইমেট
বৃষ্টি না হওয়ায় পাল্লা দিয়ে গরম বাড়ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দেশের একমাত্র বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেট জানিয়েছে, এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত গোটা দেশের কোনও জায়গাতেই একটানা ভারী বৃষ্টি হয়নি। আর একটানা বৃষ্টি না হলে গরম কমে না। ভারতে সরকারি ভাবে বর্ষা আসে জুন মাসে। আর মার্চ মাস থেকে শুরু হয় প্রাক বর্ষা মরসুম। দেশের বহু জায়গা যেমন ওড়িশার জন্য প্রাক বর্ষা মরসুমের বৃষ্টি একান্ত প্রয়োজনীয়। এবার সেটারই অভাব দেখা গেল। এ প্রসঙ্গে আইএমডির প্রাক্তন অধিকর্তা লক্ষণ সিং রাঠোর জানিয়েছেন হিমালয়ের কয়েকটি অংশের জন্যও প্রাক বর্ষা মরসুমের বৃষ্টি জরুরি। আর তাছাড়া এই বৃষ্টি হলে বনে আগুন লাগার ঘটনা কমে যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)