জলে দাঁড়ানো অবস্থাতেই মৃত্যু হয় অসহায় হাতিটির।
নয়াদিল্লি: অন্তঃসত্ত্বা এক হাতির (Pregnant Elephantয) নৃশংস হত্যা প্রত্যক্ষ করল কেরল (Kerala)। গত বুধবার খুন করা হয় হাতিটিকে। আনারসের মধ্যে বাজি ভরে খেতে দেওয়া হয় তাকে। এরপরই ওই হাতির মুখের মধ্যে ফেটে যায় বাজিটি। মর্মান্তিক ভাবে মারা যায় হাতিটি। অভিযোগ স্থানীয় জনতার দিকে। উত্তর কেরলের মালাপ্পুরমের এক বন বিভাগের আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের বিশদ বিবরণ দেওয়ার পরে তা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, হাতিটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে কাছের গ্রামে উপস্থিত হয় খাবারের সন্ধানে। সে পথ দিয়ে হাঁটার সময় তাকে আনারস খেতে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
ফেসবুকে মোহন কৃষ্ণন নামের ওই আধিকারিক লেখেন, ‘‘ও সবাইকে বিশ্বাস করেছিল। আনারসটি খাওয়ার পরে যখন তার মুখের মধ্যে সেটিতে বিস্ফোরণ হল ও নিশ্চয়ই শিউরে উঠেছিল। নিজেকে নিয়ে ভেবে নয়, বরং ওর শরীরে বেড়ে ওঠা প্রাণ, যে আরও ১৮ থেকে ২০ মাস পরে ভূমিষ্ঠ হত তাকে নিয়ে।''
বিস্ফোরণটি এত ব্যাপক ছিল যে, হাতিটির জিভ ও মুখ ভয়ঙ্কর ভাবে চোটপ্রাপ্ত হয়। হাতিটি যন্ত্রণা ও খিদেয় হাতিটি গ্রামের পথে ছুটতে থাকে। কিন্তু এই চরম অস্বস্তির মধ্যেও সে কোনও বাড়ি ভাঙেনি। কাউকে আক্রমণও করেনি। ওই আধিকারিক তাঁর পোস্টে একথা জানিয়েছেন।
পরে যন্ত্রণার উপশম পেতে সে স্থানীয় ভেলিয়ার নদীতে নেমে যায় জল খেতে।
তাকে জল থেকে উদ্ধার করতে আরও দুই হাতিকে পাঠায় বন দফতর। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে নড়েনি হাতিটি। এরপর ২৭ মে বিকেল চারটেয় সে মারা যায়।
পরে জঙ্গলের মধ্যে সমাধিস্থ করা হয় তাকে।