தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jun 23, 2020

দিল্লির দাঙ্গা কাণ্ডে অবশেষে জামিন পেলেন গর্ভবতী ছাত্রী সাফুরা জারগর!

সাফুরা জারগারকে অন্তত ১৫ দিনের মধ্যে একবার ফোনে তদন্তকারী কর্মকর্তার সংস্পর্শে থাকতে হবে এবং ১০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডও দিতে হবে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের পড়ুয়া সাফুরা ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

নয়াদিল্লি:

জামিন পেলেন সাফুরা জারগার! দিল্লির হিংসা সম্পর্কিত একটি মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ভবতী ছাত্রী সাফুরা জারগরের মুক্তি বিষয়ে পুলিশ ‘মানবিক কারণে' বিরোধিতা না করার পরে মঙ্গলবার হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন ফেব্রুয়ারিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ড (প্রতিরোধ) আইনে ১০ এপ্রিল সাফুরা জারগরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে পরে জামিনও দেওয়া হয়েছিল তবে আরও গুরুতর অভিযোগ এনে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাফুরার গ্রেফতারি এবং জেলে পড়ুয়াদের উপর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা জানান বহু মানুষ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও ধিক্কার ওঠে।

দিল্লি হাইকোর্ট সাফুরা জারগারকে তদন্তে বাধা দিতে পারে এমন কার্যকলাপে জড়িত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনুমতি ছাড়া তিনি দিল্লি ছাড়তে পারবেন না। সাফুরা জারগারকে অন্তত ১৫ দিনের মধ্যে একবার ফোনে তদন্তকারী কর্মকর্তার সংস্পর্শে থাকতে হবে এবং ১০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডও দিতে হবে।

জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের পড়ুয়া সাফুরা ২৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। পুলিশের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা মানবিক কারণে তার জামিনের বিরোধিতা করেননি। তুষার মেহতা জানান যে, মানবিক কারণে নিয়মিত জামিনে তাঁকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে তবে মামলার যোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং এর নজির করা উচিত হয়নি।

Advertisement

সোমবার, দিল্লি পুলিশ অবশ্য সাফুরা জারগারের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলে যে “সাফুরার গর্ভধারণের সত্যতা দিয়ে তাঁর অপরাধের তীব্রতা কোনওভাবেই হ্রাস করা যায় না।"

দিল্লি পুলিশ সাফুরার জামিনের বিরোধিতা করে স্ট্যাটাস রিপোর্টে জানিয়েছে যে তাঁর বিরুদ্ধে একটি “স্পষ্ট ও জোরালো মামলা” রয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে “গুরুতর অপরাধের পরিকল্পনা ও অপরাধ কার্যকরের মামলা রয়েছে”।

Advertisement

পুলিশ আরও বলেছে যে সাফুরাকে জেলে একটি আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছিল এবং অন্য কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কমই ছিল। যুক্তি আরও জোরদার করতে পুলিশ বলেছে যে গত দশ বছরে দিল্লি কারাগারে ৩৯ টি সন্তান প্রসবের ঘটনাও ঘটেছে।

জামিয়া সমন্বয় কমিটির সদস্য সাফুরা জারগার ৪ জুন ট্রায়াল আদালত তার জামিন প্রত্যাখ্যান করার পরে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।

Advertisement

সাফুরা জারগার প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার হওয়ার পরে জামিন পেয়েছিলেন। তবে পরে তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয় এবং জামিয়া সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে যে সাফুরার উপরে আরও গুরুতর অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হয়। দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য জাফরাবাদের জনগণকে উস্কানি দেওয়া এবং মহিলা ও শিশুদের রাস্তায় আনার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।

সাফুরার আইনজীবী আদালতে তর্ক চলাকালীন বলেছিলেন যে তিনি দুর্বল অবস্থায় এবং গর্ভাবস্থার বেশ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন।

Advertisement