পেরুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল প্লায়া মিডিয়া লুনা থেকে ০.৬ মাইল (এক কিলোমিটার) ভিতরে এই জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।
ওয়াশিংটন: তিমিদের পূর্বপুরুষরা কি চারপেয়ে ছিল? বিবর্তনের বাঁকে কি পা হারিয়েই স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণি হয়ে গিয়েছে তিমিদের দল? এমন নানা প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে একটি জীবাশ্ম! প্যালিওন্টোলোজিস্টরা তিমি ও ডলফিনদের একটি চারপেয়ে (four-legged amphibious ancestor) জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন যা স্তন্যপায়ীদের স্থল থেকে মহাসাগরের জীবনে বিবর্তনকে নতুন আলোকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তিমি এবং ডলফিনের পূর্বপুরুষরা (ancestors of whales and dolphins) প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে হেঁটে বেড়াত। সেই জায়গাগুলির বেশিভাগই এখন ভারত ও পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত।
প্যালিওন্টোলোজিস্টরা (Paleontologists) উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির আংশিক জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন আগে, যার বয়স ছিল ৪১.২ মিলিয়ন বছর। মনে করা হয় যে এই সময়ের পর থেকে নিজেদের ওজন বহন করার ক্ষমতা হারায় এই প্রাণিরা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি গবেষণায় বর্ণিত এই নতুন নমুনাটি ৪২.৬ মিলিয়ন বছর বয়সী সিট্যাসিয়ানদের বিবর্তনের বিষয়ে নতুন তথ্য জানাচ্ছে।
বাজারে আসছে ‘সম্মতি কন্ডোম'! দু'জনে রাজি হলে তবেই খুলবে কন্ডোমের প্যাকেট
পেরুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল প্লায়া মিডিয়া লুনা থেকে ০.৬ মাইল (এক কিলোমিটার) ভিতরে এই জীবাশ্ম (fossil of a four-legged amphibious ancestor of whales) পাওয়া গেছে। এর শুঁড় বা মুখের সামনের অংশটি মাটির মধ্যে গাঁথা ছিল এবং খননকালে গবেষকরা নিম্ন চোয়াল, দাঁত, মেরুদণ্ড পাঁজর, সামনের এবং পিছনের পায়ের অংশ এবং তিমির পূর্বপুরুষের দীর্ঘ আঙুলগুলিও উদ্ধান করেন। জীবাশ্মের শারীরবৃত্তীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই প্রাণির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১৩ ফুট (চার মিটার)। হাঁটতে এবং সাঁতার কাটতে পারত এই প্রাণি।
রয়্যাল বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসের প্রধান লেখক অলিভিয়ার ল্যামবার্ট এএফপিকে বলেন, “লেজের মেরুদণ্ডের অংশটি বর্তমানের অর্ধ-জলের স্তন্যপায়ী প্রাণিদের (semi-aquatic mammals) মতো একই। এটি এমন একটি প্রাণি ছিল যা তার লেজটিকে সাঁতার কাটার জন্য ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। এই কারণেই এটা ভারত ও পাকিস্তানের পুরোনো সিট্যাসিয়ানদের (cetaceans) থেকে পৃথক।"
মিশর, নাইজেরিয়া, টোগো, সেনেগাল এবং পশ্চিম সাহারায় চার পায়ের তিমি পাখির জীবাশ্মের টুকরো পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলো এতটাই বিভক্ত ছিল যে এই প্রাণি সাঁতার কাটতে পারে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব।
মানবিকতায় উজ্জ্বল! জমানো ১০ টাকা নিয়ে মুরগির প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালে ছোট্ট শিশু
ল্যামবার্ট বলেন, “এটি ভারত ও পাকিস্তানের বাইরে পাওয়া চারপেয়ে তিমির (four-legged whale) সবচেয়ে গোটা একটা নমুনা।" পেরুর তিমি যদি ভোঁদড়ের মতো সাঁতার কাটতে পারে তবে গবেষকরা অনুমান করেছিলেন যে এটি সম্ভবত আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করেছিল। কন্টিনেন্টাল ড্রিফটের (continental drift) ফলস্বরূপ, আজকের তুলনায় দূরত্বটি ছিল প্রায় অর্ধেক, মোটামুটি ৮০০ মাইল এবং পূর্ব-পশ্চিম স্রোত তাদের ভ্রমণকে সহজতরও করেছিল।
পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে পিসকো বেসিনে এমন অজস্র জীবাশ্ম পাওয়া যায়। যা দিয়ে আগামী ৫০ বছর গবেষণা চালানো যাবে বলে মনে করেন গবেষকরা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)