মাত্র একদিন আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাওয়ার কথা বলেছেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন। কয়েকটি বিরোধী দল ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছ। এবার সেই পথেই হাঁটল তৃণমূল। দলের নেতারা মনে করছেন এখনই নেতার নাম ঘোষণা করে দিলে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরতে পারে। আর তাই নেতা নির্বাচন ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর করাই ভাল। এ প্রসঙ্গে দলের এক প্রবীণ নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘ শুধু তৃণমূল নয় অন্য বিরোধী দল গুলিও মনে করে নেতা নির্বাচন লোকসভা ভোটের পরেই হওয়া উচিত। এখন নেতার নাম ঘোষণা করলে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরতে পারে।'
আমন্ত্রণ পেয়েও কমলনাথের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা
কার নেতৃত্বে ভোট হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি রাজ্যে ভাল ফল হওয়ার পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকেই মুখ হিসেবে দেখতে চান অনুগামীরা। কিন্তু কয়েকটি দলের তাতে আপত্তি রয়েছে। সেই তালিকায় আছে তৃণমূলও। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানান বিরোধী জোট সংক্রান্ত আলোচনা করবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধির সঙ্গেই। সে কথাই আরও একবার স্পষ্ট হল তৃণমূল। এর আগে এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী, এনডিটিভিকে তিনি জানান জোটের মুখ কে বে তা বেছে নেবে জনতা। সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন বিরোধীদের চেহারা কে হবেন? উত্তরে দীনেশ বলেন,চেহারা ঠিক করে জনতা। তাই জনতাকে বাদ দিয়ে চেহারার কথা ভাবলে মানুষ আমাদের ভুলে যাবে। মানুষই চেহারা নির্বাচন করবে। পাশাপাশি তিনি জানান নির্বাচনে জেতার পরও আচরণে বিনম্রতা থাকা উচিত।