This Article is From Mar 30, 2020

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সরকারের পাশে রাজ্যের মুখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি

২৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সকলের কাছে তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য আর্জি জানান।

মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সরকারের পাশে রাজ্যের মুখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন সাড়া রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির।

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাস অতিমারীর মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছে
  • সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে

রাজ্যের বহু মুখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস (Coronavirus) অতিমারীর মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তারা। ২৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সকলের কাছে তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য আর্জি জানান। তিনি সমস্ত প্রতিষ্ঠান তো বটেই, ব্যক্তিগত ভাবেও অনুদানের অনুরোধ করেন। এরপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xavier''s University)  তরফে রাজ্য সরকারের তহবিলে অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলোচনা চাল‌াচ্ছেন যথেষ্ট পরিমাণে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে। তবে কত টাকা তাঁরা দিচ্ছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি উপাচার্য।

২১ দিনের লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানোর জল্পনা ওড়ালো কেন্দ্রীয় সরকার

তবে তিনি জানিয়েছেন, এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীরা মিলেও একটি অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সকলেই নিজেদের ইচ্ছামতো অর্থ অনুদান হিসেবে দেবেন। তারপর সম্মিলিত অর্থ তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তহবিলে।

উপাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দু'টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই রাজ্য ও সাধারণ নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে লড়াই চালাতে।''

করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় রোগীর মৃত্যু

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, ‘‘আমরা শিক্ষক, আধিকারিক ও কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছি করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের জন্য অনুদান জমা দিতে।''

তিনি জানান সকলে যা অনুদান করতে চান তা মেল করে জানিয়ে দেবেন উপাচার্যকে। পরে সেই পরিমাণ অর্থ প্রত্যেকের এপ্রিলের বেতনের থেকে কেটে নেওয়া হবে।

একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার ফেলিক্স রাজ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই অনুদানের টাকা তহবিলে জমা দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এরই পাশাপাশি শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মীরা সকলেই নিজেদের একদিনের বেতন দান করবেন অনুদান হিসেবে।

কলেজের প্রিন্সিপাল ড. ডমিনিক সেভিও এসজি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ৪০ লক্ষ টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করার।''

এদিকে বিশ্বভারতীর কর্মী-শিক্ষকরাও একদিনের বেতন ত্রাণ হিসেবে দান দান করবেন। তবে তাঁরা সেই অনুদান জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.