বিস্তর টাল বাহানার পর হিন্দু হস্টেলের একাংশ হাতে পাচ্ছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ১৩০ বছরের পুরনো হস্টেলের একটি অংশে থাকতে পারবেন তাঁরা। পূর্ত দপ্তরের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এই খবর জানিয়েছেন। পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে আপাতত হস্টেলের দুটি ওয়ার্ড ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা যেতে পারে। আর ছাত্ররা যাতে ভাল ভাবে হস্টেলে ফিরতে পারেন তার জন্য একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কমিটির সদস্যরাই গোটা বিষয়টা দেখভাল করবেন। গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে সংস্কার। আর এর মাঝে ৭০ জন আবাসিককে নিউটাউনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁরাই ফিরবেন হিন্দু হস্টেলে। দীর্ঘ দিন বাদে হস্টেলে হাতে পাওয়ার দিন জানতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা।
Presidency University Convocation: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির আবহের মধ্যে ফেলুদাকে ডি লিট
হস্টেল ফেরত পাওয়ার দাবি অনেক দিন ধরেই করে আসছেন প্রেসিডেন্সির ছাত্ররা। হস্টেলের কাজ শেষ করার সময়সীমা বার বার বদলেছে। এ নিয়ে পড়ূয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কয়েক মাস আগে তা বড় আকার নেয়। একটানা দশদিন অনশন হয় দুশো বছর পার করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। হিন্দু হস্টেল ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়ার পর ওঠে অনশন। সে সময় লিখিত ভাবে জানানো হয় ১৫ নভেম্বরের মধ্যে হিন্দু হস্টেলে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সেটি আরও কয়েকদিন পিছিয়ে যায়। শেষমেশ সোমবার এল বহু প্রতিক্ষিত সেই সংবাদ।
এরই মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। ছাত্র বিক্ষোভের কারণ দেখিয়ে এবার সমাবর্তনের স্থান বদলে দেন উপাচার্য। তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন অনেকেই। অন্যদিকে কয়েকটি ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত তৈরি হয়েছে বলে খবর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠনও অনুরাধার কাছে খুশি নয়। এরই মধ্যে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ তাঁর জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করেছিল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)