This Article is From Feb 05, 2020

পড়ুয়াদের 'বোকা বানিয়ে' চেম্বারের পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য

সোমবার বেলা ২টো থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা, প্রায় ১৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Presidency University's Vice Chancellor)

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

হস্টেল সংস্কার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে প্রায় ১৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। (ফাইল ছবি)

Highlights

  • চেম্বারের পাসের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে 'ঘেরাওমুক্ত' প্রেসিডেন্সির উপাচার্য
  • প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ঘেরাও করে রেখেছিল পড়ুয়ারা
  • তাঁদের বুঝতে না দিয়েই সেই দরজা দিয়ে বেড়িয়ে বাড়ি চলে যান উপাচার্য
কলকাতা:

সোমবার বেলা ২টো থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা, প্রায় ১৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ (Gherao) ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Presidency University's Vice Chancellor)। এদিন সকালে পড়ুয়াদের খানিকটা 'বোকা বানিয়ে' পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া (Anuradha Lohia)। উপাচার্যর চেম্বারের বাইরে যখন হস্টেল সংস্কার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে চলছে পড়ুয়া বিক্ষোভ, তখনই চেম্বার লাগোয়া পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। বাইরে অবস্থানরত পড়ুয়ারা সেটা টের না পেয়েই চালাতে থাকেন প্রতিবাদ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এমনটাই খবর। এরপর উপাচার্য সিড়ি দিয়ে নেমে ক্যাম্পাসে রাখা নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ির উদ্দেশেও রওনা দেন। ফের বেলা ৩টে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় ফেরেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে ওই সূত্র। এই গোটা সময় ধরে উপাচার্য আছেন, এমনটা ধরে নিয়েই বাইরে স্লোগান চলতে থাকে। অবস্থান বিক্ষোভ জারি রাখেন পড়ুয়ারা। এ বিষয়ে পিটিআইয়ের তরফে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, হ্যাঁ, আমি ফিরে এসেছি। কিন্তু এখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারব না। 

প্রেসিডেন্সির অধ্যাপকের নেতৃত্বে Anti-CAA Rally, ভিডিও ভাইরাল

এদিকে প্রতিবাদীদের দাবি, উপাচার্যকে চেম্বার ছাড়তে কোনওভাবেই আটকায়নি পড়ুয়ারা। তবে, দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁর চেম্বারের বাইরে থেকে নড়বেন না তাঁরা। পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা।  অপরদিকে, সোমবার দুপুর থেকে শুরু হয়েছে এই ঘেরাও। তাঁরই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সেখানকার পড়ুয়ারা, এর ফলে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ক্যাম্পাসে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে, পাশাপাশি ছাত্রাবাসের মেরামতির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এই রকম কয়েক দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও করে পড়ুয়ারা। প্রেসিডেন্সির ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, ১৩০ বছরের পুরনো হিন্দু হস্টেলের পাঁচটি ওয়ার্ডের তিনটির মেরামতির কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে এবং হস্টেলের বরখাস্ত ৮ কর্মীকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে।দীর্ঘক্ষণ নিজের কক্ষে ঘেরাও থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথা ভাবেননি উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া, এমনটাই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকদের, বরং যথেষ্ট ধৈর্য্যের সঙ্গেই পরিস্থিতি সামলেছেন তিনি।

Advertisement

প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে CAA-NRC'র বিরোধিতায় প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের প্রতিবাদ

"আমরা ভিসি ম্যামকে তখনই যেতে দেব যখন তিনি আমাদের দাবি সম্পর্কে বিবেচনা করার বিষয়ে একটি লিখিত আশ্বাস দেবেন", জানিয়েছে ছাত্র বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা অন্যতম আইসি সদস্য শুভ বিশ্বাস।

Advertisement

পাশাপাশি অবস্থানরত পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, সরস্বতী পুজোর দিন সাংস্কৃতিক কনভেনশনে ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ছাত্ররা ঢুকতে পারলেও, ছাত্রীদের গেট থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। এই ঘটনার জন্যেও উপাচার্যকে লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে বলে দাবি করে পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেল নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে এই হস্টেলের ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড খালি করে তা মেরামতি করার দাবি জানায় ছাত্রছাত্রীরা। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবিপূরণের আশ্বাস দিলেও সমস্যার এখনও সমাধান হয়নি।

Advertisement



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement