This Article is From Sep 11, 2018

Presidency University Conflict: আজকের নিয়মরক্ষার সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে নন্দনে

বিক্ষুব্ধ ছাত্র আন্দোলনের কারণে আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement
Education
কলকাতা:

বিক্ষুব্ধ ছাত্র আন্দোলনের কারণে আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল রাজভবনে হবে সমাবর্তন। তারপর ঠিক হয়, সেখানে নয়। সমাবর্তন হবে নন্দন 3  প্রেক্ষাগৃহে। কোনও পড়ুয়া বা গবেষককে এ দিন ডিগ্রি দেওয়া হবে না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। নন্দনে উপস্থিত থাকবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও। এক রকম নিয়মরক্ষার মধ্যে দিয়েই সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেওয়া হবে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে দেওয়া হবে ডিএসসি। 

 

যদিও, সমাবর্তনের আগের দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অশান্তি হয়ে গেল। পড়ুয়াদের একাংশ বাধা  দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারলেন না উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের  গেট আটকে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বেশ কিছু পড়ুয়া। তাতেই বাধা পান অনুরাধা। বাইরে থেকেই  ফিরে যেতে হয় তাঁকে। প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোঙারও ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। বছর তিনেক আগে সংস্কারের কাজ শুরু হওয়া   হিন্দু হস্টেল এখনও হাতে না আসায় গত মাসের গোড়া থেকে আন্দোলন চলছে।

এদিনের বিক্ষোভ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, পড়ুয়াদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন এই গোলমাল করছে, সবাই নয়। কাল (মঙ্গলবার) সমাবর্তন। ওই অনুষ্ঠানে কোনও সমস্যা হোক সেটা আমরা  কখনই চাই না। অন্যদিকে পড়ুয়াদের দাবি তাঁরা কেউ সমাবর্তনের বিপক্ষে নন। হিন্দু হস্টেল না থাকায় তাঁদের যে  সমস্যা হচ্ছে সেটা বোঝাতেই এই আন্দোলন। এদিনের বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে তিনি জানান, তাঁরা বাম আমল থেকে স্লোগান দেওয়া শিখেছেন। কিন্তু এটা কারখান নয়,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে বলে  তিনি  মনে  করেন।                         

Advertisement

দুশো বছরের পুরনো প্রেসিডেন্সিতে হিন্দু হস্টেল হাতে পাওয়ার দাবি গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চলছে। নাগরিক কনভেনশনও হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ হিন্দু হস্টেলের কাজ শেষ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বছর তিনেক আগে সংস্কাররে জন্য হিন্দু হস্টেল খালি করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে চলছে সংস্কারের কাজ। আবাসিক ছাত্রদের থাকতে হচ্ছে অন্যত্র।             

Advertisement