This Article is From Aug 14, 2018

পড়ুয়াদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি জানাল প্রেসিডেন্সির শিক্ষকরা

হিন্দু হোস্টেলে থাকা নিয়ে বিতর্কের জেরে 12 দিনে পড়ল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ।

পড়ুয়াদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি জানাল প্রেসিডেন্সির শিক্ষকরা
কলকাতা:

হিন্দু হোস্টেলে থাকা নিয়ে বিতর্কের জেরে 12 দিনে পড়ল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ। এই বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের 36 জন শিক্ষকদের একটি দল আসে তাদের কাছে। গত তিন বছর ধরে হিন্দু হোস্টেল সংস্করণের কাজ চলছে। পড়ুয়াদের সেই কারণেই থাকতে হচ্ছে নিউটাউনের কাছে এক আবাসিক ভবনে। এই নিয়েই বিতর্ক। যার ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট 50 জন পড়ুয়া। ছাত্র আন্দোলনের এক কর্মী ইনডিপেন্ডেন্ট কনসোলিডেশন (আইসি)-এর সদস্য অয়ন চক্রবর্তী বলেন, গতকাল লেখা একটি চিঠি বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের হাতে আজ তুলে দেন ওই ছত্রিশ জন শিক্ষক।

“ওই চিঠিতে শিক্ষকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে আমাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হিন্দু হোস্টেলের সংস্কারের কাজ যাতে আরও দ্রুতগতিতে হয় তার দেখভাল করবে তাঁরা”, বলেন তিনি।

শিক্ষকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের কাছে অনুরোধ করে বলা হয়েছে, আপাতত আন্দোলন তুলে আঠারো কিলোমিটার দূরের নিউ টাউনের আবাসিক ভবনে গিয়ে থাকার জন্য।  

“কিন্তু, আমরা তাঁদের অনুরোধ রাখতে পারিনি। আমরা মনে করি না যে, এই অবস্থান বিক্ষোভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্মে কোনওরকম ক্ষতি হচ্ছে”, বলেন অয়ন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত ক্লাস করছি। আমরা শিক্ষাগত বা প্রশাসনিক কাজকর্ম কোনওভাবে ব্যাহত করছি না। আমরা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করছি”।

বিছানা, বালিশ, তোষক ইত্যাদি নিয়ে এসে ওই পঞ্চাশজন পড়ুয়া ওই জায়গাটিতেই থাকছে। তারা স্নানও সারছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিকেই বকলমে নিজেদের হোস্টেল বানিয়ে নিয়েছে তারা।  

.