This Article is From Jan 21, 2019

পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে বললেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে  বললেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।

পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে বললেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য

উপাচার্য যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।                                       

হাইলাইটস

  • প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে বললেন উপাচার্য
  • আন্দোলন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে
  • এও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্সিতে
কলকাতা:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনশন তুলে নিতে বললেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। কয়েক মাস আগে হিন্দু হস্টেল  নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফাটক আটকে দেন পড়ুয়াদের একাংশ। এই ঘটনায় তিন ছাত্রকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁদের ছ'মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে অনশন শুরু হয়েছে দুই শতাব্দী পার করে আসা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরই মাঝে রবিবার প্রেসিডেন্সির জন্য এক বিশেষ দিন ছিল। প্রত্যেক বছর ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সিতে ফাউন্ডার্স ডে পালিত হয়। এবারও সেই অনুষ্ঠান হয়। প্রাক্তন পড়ুয়াদের উপস্থিতির মাঝেই চলতে থাকে অনশন।

বাজেট পেশ করতে দেশে ফিরবেন জেটলি: সূত্র

এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি উপাচার্য। তিনি এদিন সাত পড়ুয়ার সঙ্গে  কথা বলেন। এই সাত জন-ই অনশন চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে তিন জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। উজান নামে এক ছাত্র সংবাদ সংস্থা  পিটিআইকে জানান, শাস্তি প্রত্যাহারের বিনিময়ে উপাচার্য পড়ুয়াদের ক্ষমা প্রার্থনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই প্রস্তাব অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।                                                                       

প্রথমে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয় পড়ুয়াদের। পরে তা কমিয়ে করা হয় ছ' মাস। কিন্তু এবার শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

 প্রেসিডেন্সিতে এ হেন অশান্তি মোটেই নতুন কোনও বিষয় নয়। মাত্র কয়েক মাস আগে  হিন্দু হস্টেল নিয়ে গোলমাল হয়। আন্দোলনের পাশাপাশি অনশন হয়েছিল সেবারও। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে প্রেসিডেন্সির উপাচার্যকে  ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার পর দিন-ই ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। গোলমালের আশঙ্কা করে সেই অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে  নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্য সমালোচিত হন উপাচার্য ।  

.