This Article is From Aug 03, 2020

জাতীয় শিক্ষা নীতির পক্ষ নিয়ে অকপট প্রেসিডেন্সির সহ-উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া

এদিকে, জাতীয় শিক্ষানীতির সমালোচনায় সরব রাজ্য। এই নীতি পর্যালোচনায় ছয় সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরামর্শ নেওয়া হবে শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনগুলোর

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

যতটা পড়েছি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) নিয়ে বিরোধিতার জায়গা নেই। সোমবার এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বললেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অনুরাধা লোহিয়া (ফাইল ছবি)।

কলকাতা :

যতটা পড়েছি নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) নিয়ে বিরোধিতার জায়গা নেই। সোমবার এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বললেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (Presidency University VC)। রাজ্যের এই কলেজের সহ-উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, " নতুন শিক্ষানীতিতে আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর। আগামি দিনে কাজ খুঁজতে এই প্রশিক্ষণ কাজে দেবে। এমনকী, স্কুলশিক্ষার জন্য প্রাথমিক ১১ বছর (৫+৩+৩+৩) ধাপটাও বেশ আকর্ষণীয়।" পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত মাতৃভাষায় পঠনপাঠনের যে পরিসর রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রফেসর লোহিয়ার (Prof. Anuradha Lohia) প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্সির সহ-উপাচার্য বলেছেন, "শহুরে শিক্ষিত সমাজ ইংরাজিতে স্বচ্ছন্দ্য। তা দের আবার পিছনে গিয়ে বাংলায় পড়াশোনা করাটা প্রতিবন্ধকতা হবে। আমাদের ইংরাজি চর্চা জারি রাখতে হবে। বিশ্ববাজারে চিনের সঙ্গে লড়তে ভারতের মানবসম্পদকে ইংরাজি জানতে হবে।"

উচ্চশিক্ষার কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। এই বিষয়ে অনুরাধা লোহিয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, "আমার ব্যক্তিগত মতামত সবাই উচ্চশিক্ষা করেন না। কিন্তু এখানে একটা সাম্মানিক পরিসর ছাড়া হয়েছে। একটা স্নাতকস্তর, একটা স্নাতকোত্তর স্তর, পিএইচডি আর ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই আমার মনে হয় চার বছরের স্নাতকস্তরে পড়াশোনাটা ভালো। বছর শেষে গবেষণার জন্য স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া যাবে। এই ডিগ্রি নিয়ে আপনি পিএইচডি করতে পারবেন দেশে কিংবা বিদেশের যেকোনও জায়গায়।"

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যাঁরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে আগ্রহী, এই বদল কি তাঁদের জন্য? প্রফেস লোহিয়া বলেন, "অনেক পড়ুয়া বিদেশে পড়তে যেতে চায়। দেশ থেকে স্নাতক হয়ে এই বিদেশে পড়াশোনার জন্য এই চার বছরের স্নাতককোর্স আদর্শ। এর বাইরে যাঁরা দেশে থাকতে চান, তাঁরা প্রয়োজনে ডিপ্লোমা, বৃত্তিমূলক বা ডিগ্রি নিয়ে চাকরি প্রস্তুতি করতে পারবেন।" এদিকে, জাতীয় শিক্ষানীতির সমালোচনায় সরব রাজ্য। এই নীতি পর্যালোচনায় ছয় সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরামর্শ নেওয়া হবে শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনগুলোর। জানা গিয়েছে, সরকারি কমিটিতে রয়েছেন অধ্যাপক সুরঞ্জন দাশ, নৃসিংহপ্রাসদ ভাদুড়ি, পবিত্র সরকার-সহ অন্যরা।

 

Advertisement