Read in English
This Article is From Jun 01, 2019

৫ জুনের পর আমেরিকার দেওয়া বিশেষ আর্থিক মর্যাদা পাবে না ভারতঃ ট্রাম্প

এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে সমস্ত দেশ গুলি থাকে তারা তাদের দেশ থেকে আমেরিকায় জিনিস পত্র পাঠাতে একটি বিশেষ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয় তারা এই বিশেষ  মর্যাদা শেষ করার পক্ষে।

Highlights

  • ৫ জুনের পর আমেরিকার দেওয়া বিশেষ আর্থিক মর্যাদা পাবে না ভারতঃ ট্রাম্প
  • ভারতের দিক থেকে এরকম কোনও নীতি নেই বলেই এই সিদ্ধান্তঃ ট্রাম্প
  • ‘জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স’ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে ভারতকে
ওয়াশিংটন:

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এতদিন ভারত আমেরিকা থেকে একটি বিশেষ মর্যাদা পেত (Special Status) । এবার সেটি শেষ করতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন (Trump Administration) । মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোলান্ড ট্রাম্প  (US pRESIDENT Donald Trump) জানালেন ৫ জুনই এই তকমা হারাচ্ছে ভার‍ত। ভারতের  দিক  থেকে এরকম কোনও নীতি নেই বলেই যে এমন  সিদ্ধান্ত সে কোথাও জানান রাষ্ট্রপতি (American President) । মানে সব মিলিয়ে  ‘জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স' (GSP Status) থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে যে সমস্ত দেশ গুলি থাকে তারা তাদের দেশ থেকে আমেরিকায় জিনিস পত্র পাঠাতে একটি বিশেষ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। এতদিন ভারতও সেই সুবিধা পেত কিন্তু এবার থেকে তা আর পাবে না। এই ব্যবস্থাপনার সুবিধা যে কয়েকটি দেশ পেত তার মধ্যে ভারতের উপকার হতো সব থেকে বেশি। শুধু ২০১৭ সালে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জিনিস আমেরিকায় পাঠাতে পেরেছে ভারত। কিন্তু এবার বন্ধজ হচ্ছে  সেই রাস্তা। 

নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, আমরা যে ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধা ভারতকে দিয়ে থাকি তার সমতুল এবং গ্রহণযোগ্য কোনও কিছু  দেওয়ার ব্যাপারে পাল্টা আশ্বাস পাইনি। আর তাই ৫ জুন থেকে এই  বিশেষ মর্যাদা ভারত পাবে না।    

গত মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয় তারা এই বিশেষ  মর্যাদা শেষ করার পক্ষে। কিন্তু কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করেছিল নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। এমতাবস্থায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। তবে শেষমেশ সেটাই হল।  মার্কিন  প্রশাসনের  এক কর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, নরেন্দ্র মোদী নতুন করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুগম হবে। কিন্তু মার্চ মাসে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছিল তা পরিবর্তনে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। আমার মনে হয় বিষয়টি ইতিমধ্যেই পাকা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু এটাই দেখার যে আগামী দিন বিষয়টি আমাদের তরফ থেকে কীভাবে করা হয়। ওই কর্তা জানান মার্কিন প্রশাসনের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে এমন কোনও ভাবে গোটা বিষয়টিকে শেষ করতে যাতে মোদী সরকার দ্বিতীয় বার কোনও একটি পথে এগিয়ে এই সুবিধা পাওয়ার জায়গায় পৌঁছতে পারে। তিনি মনে করেন ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক গুলি দিক রয়েছে। অনেক সম্ভাবনার সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই দুই দেশের সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে সঙ্গে তুরস্কের কাছ থেকেও এই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন। কারণ আমেরিকা মনে করে তুরস্ক এই মুহূর্তে আর  উন্নতশীল উন্নয়নশীল দেশ নয়।  

Advertisement

Advertisement