Donald Trump: মার্কিন সর্বেসর্বাকে ওপরে তোলার আগে তিনি সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন বলে খবর
হাইলাইটস
- প্রায় ঘণ্টাখানেক হোয়াইট হাউসের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে ছিলেন ট্রাম্প
- বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেখে ঘাবড়ে যান তিনি
- রবিবার ৪০ টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়
ওয়াশিংটন: তবে কি ভয় পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)? মানুষের রোষ থেকে বাঁচতেই কি তাঁকে আশ্রয় নিতে হলো হোয়াইট হাউজের (White House) মাটির তলায়? করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এমনতিই নাজেহাল আমেরিকা, এরপর আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ দ্বন্দ্ব। কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার জেরে পুরো আমেরিকা জুড়ে এখন চলছে প্রবল বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সেই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে হোয়াইট হাউজেও। ওয়াশিংটন ডিসিতে শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত হওয়ার পর যখন পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনই নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষায় তাঁকে হোয়াইট হাউজের আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংবাদ জানিয়েছেন দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক ব্যক্তি। জানা গেছে, ওই বাঙ্কার থেকে তাঁকে ওপরে তোলার পরেও নাকি বেশ আতঙ্কেই ছিলেন মার্কিন সর্বেসর্বা। প্রায় ঘণ্টাখানেক মাটির তলায় ঘাপটি মেরে থাকতে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করল চিন
শুক্রবার যখন কয়েকশো লোক রীতিমতো আন্দোলন করতে করতে হোয়াইট হাউজের দিকে এগোন তখনই আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্ক পুলিশের আধিকারিকরা তাঁদের মাঝপথেই আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজের বাইরে যেভাবে মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে তা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির তলার আস্তানায় পাঠিয়ে দেওয়া হলেও মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ব্যারন ট্রাম্পকেও তাঁর সঙ্গে সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা এখনও অস্পষ্ট।
করোনাকে রুখতে প্রতিদিন হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন খান, দাওয়াই ডোনাল্ড ট্রাম্পের
জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়, আর তারপর থেকেই ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মানুষের ক্ষোভ দানা বাঁধছে। শুক্রবারই ওই যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভের সময় মিনেসোটা, নিউইয়র্ক এবং আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্কে শুরুর দিকে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবেই নিজেদের দাবি তুলে ধরছিলেন। কিন্তু পরের পরিস্থিতি ঘোরালো হয়, সিএনএন-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশের গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সতর্ক সেখানকার প্রশাসন। জানা গেছে অতিরিক্ত ২,০০০ জন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের ১৫ টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ডেরেক শভিন নামে ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, গত সোমবার (২৫ মে) হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন ডেরেক শভিন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ যে অত্যাচার করেছে তা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে স্লোগান দিচ্ছেন এবং বলছেন 'আমি শ্বাস নিতে পারছি না'।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চার পুলিশ সদস্যকে তৎক্ষণাই বরখাস্ত করা হয়। ফ্লয়েডের পরিবার জড়িত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।