தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Nov 13, 2019

রাজ্যপালের রিপোর্টের পরেই মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন

Maharashtra President's Rule: সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড়ে ব্যর্থ বিজেপি ও শিবসেনা, এনসিপিকে আহ্বান করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
মহারাষ্ট্রে জারি করা হল রাষ্ট্রপতি শাসন (Maharashtra Under President's Rule), মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ২০ দিনের পরেও, বিজেপি, শিবসেনা (Shiv Sena), এনসিপি, তিন দলকেই সরকার গঠনের জন্য আহ্বান করেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি, তবে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি কেউই, কেন্দ্রকে এই রিপোর্ট দেওয়ার পরেই সেরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হল মঙ্গলবার। এদিন সকাল ১১টায় রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে এনসিপি, তারাও রাজ্যপালের কাছে আরও সময় চায়। শিবসেনাকে সমর্থন নিয়ে এনসিপি ও কংগ্রেসের আলোচনা চলার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করা হয়।

এখানে রইল ১০'টি তথ্য:

  1. সরকার গঠনের দাবি জানাতে শিবসেনা ব্যর্থ হয়ে তিনদিন অতিরিক্ত সময় চায়, তা দিতে চাননি রাজ্যপাল, তারপরেই সোমবার সন্ধ্যায় সরকার গঠনের জন্য এনসিপিকে (NCP) আহ্বান করা হয়। আরও সময় দিতে অস্বীকার করায়, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা। কংগ্রেস ও এনসিপিকে নিয়ে সরকার গঠনের শিবসেনার প্রয়াসের সমাপ্তি ঘটে সোমবার, তার আগে ফোনে উদ্ধব ঠাকরে আশার আলো জুগিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।

  2. শেষ মুহুর্তে, সর্মথনের চিঠি দিয়ে যখন শিবসেনা যখন রাজ্যপালের দরবার যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, কংগ্রসের তরফে জানানো হয়, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন। এনসিপি নেতা তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বলেন, “সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত, কংগ্রেসের চিঠির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমাদের নেতা শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলরা”।

  3. রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা, তাদের অভিযোগ, বিজেপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দুদিন সময় দেওয়া হলেও, তাদের কোনও সময় দেওয়া হয়নি। শিবসেনার হয়ে সওয়াল করছেন আইজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল।

  4. এদিন সকালে, সরকার গঠন নিয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, তারপরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মুম্বই পাঠান তিনি। এর আগে তাঁদের সফর বাতিল করেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। NDTV কে অজিত পাওয়ার বলেন, দিল্লিতে তাঁর কাকাকে সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। শরদ পাওয়ার তা অস্বীকার করেন, মুম্বইয়ে এনসিপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের কারণ দেখান তিনি।

  5. শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনের পক্ষে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা, তবে দলীয় নেতৃত্ব বিশেষ করে সনিয়া গান্ধি আদর্শগত ভিন্ন এবং চিরাচরিত বিরোধী দল, এমনকী, নির্বাচনে যারা মুম্বইসহ মহারাষ্ট্রে যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই, তাদের সঙ্গে জোট করা নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি কংগ্রসের উদ্বেগ, বিজেপির ৩০ বছরের সঙ্গী শিবসেনা, তাদের এই বিচ্ছেদ চিরস্থায়ী হবে না।

  6. Advertisement
  7. এনডিএ থেকে তাদের প্রস্থানের বার্তা দিয়ে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শিবসেনার একমাত্র মন্ত্রী। বিজেপি থেকে শিবসেনার আলাদা হয়ে যাওয়া ছিল এনসিপির বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার শর্ত।

  8. তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়ে দেয় এনসিপি। অজিত পাওয়ার বলেন, “যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে, তা হবে একসঙ্গে, সেইকারণে আমরা গতকাল কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলান, কিন্তু তারা আসেনি, আমরা এই নিয়ে একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই, আমরা একসঙ্গেই রয়েছি। কংগ্রেস সময় নিচ্ছে, কারণ, আমরা শিবসেনার সঙ্গে লড়াই করিনি”।

  9. কংগ্রেস জানিয়েছে, বেশী সময় চেয়েছেন শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, গতকাল সনিয়া গান্ধিকে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, যে, শিবসেনাক সমর্থনের ধরণ জানা প্রয়োজন। খবর, শরদ পাওয়ার বলেন, “শিবসেনার থেকে মাত্র দুটি আসন কম রয়েছে এনসিপির”, শিবসেনার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়া নিয়ে ইঙ্গিত এনসিপি সুপ্রিমোর।

  10. শনিবার, মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হতেই, কোনও প্রস্তাবনা ছাড়াই, বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান ভগৎ সিং কোশিয়ারি। তবে শিবসেনার বিরুদ্ধে “জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা”-র অভিযোগ তুলে বেরিয়ে আসে বিজেপি।

  11. মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ১৫০ আসনে জেতে বিজেপি, শিবসেনা জয় পায় ৫৬ আসনে, ফলে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় আনায়সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে পেলে শিবসেনা-বিজপি জোট। তবে শিবসেনা নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুখ্যমন্ত্রী, এবং ৫০-৫০ হারে ক্ষমতা ভাগাভাগির দাবি করে, তারা জানায়, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এনসিপির ঝুলিতে রয়েছে ৫৪টি আসন, এবং কংগ্রসের ৪৪টি আসন।

Advertisement