স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়াদিল্লি: “মহাভারতে যুদ্ধে জয়ে সময় লেগেছিল ১৮ দিন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজন ২১ দিন”, বুধবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । করোনা ভাইরাস লকডাউন (coronavirus lockdown) নিয়ে এদিন নিজের কেন্দ্র বারাণসীর মানুষদের সঙ্গে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে কথা বলেন তিনি। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬০, মঙ্গলবার করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, এদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রের লোকজনদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন তিনি। করোনা ভাইরাসের রোগিদের দেখভাল করা চিকিৎসক, নার্সদের টার্গেট করার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে এদিন “দুঃখপ্রকাশ” করে প্রধানমন্ত্রী মোদি।
নেই মাথা গোঁজার ঠাই! লকডাউনে গ্রামে ফিরতে ৮০ কিমি হাঁটা লাগালেন এক শ্রমিক
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সঙ্কটের সময়ে, সাদা পোশাকে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ঈশ্বরেরই নামান্তর। আজ তাঁরা জীবন রক্ষা করছেন, নিজেদের জীবন বিপন্ন করছেন”। তাঁর কথায়, “চিকিৎসক, উহানের উদ্ধারকারী, এয়ার ইন্ডিয়া এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা ভারতীয়দের ফিরিয়ে এনেছেন...তাঁরা আমাদের প্রকৃত নায়ক। আমাদের অবশ্যই তাঁদের সাহায্য করা উচিত। যখন আমি তাঁদের হেনস্থা করার খবর পাই, সেটা আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখি। এটা আমার কাছে খুবই দুঃখের বিষয়। তাঁদের হেনস্থা কারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর সাজা দেওয়ার জন্য আমি রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের বলেছি”।
তিনি মনে করিয়ে দেন, রবিবার, জনতা কার্ফু বা একদিনের কোয়ারান্টাইনের সময়ে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াইয়ে সামিল, বিকেল ৫টার সময় তাঁদের অভিনন্দন জানাতে সবাই বেরিয়ে এসেছিলেন।
দেশব্যাপী লকডাউনকে সমর্থন চিদাম্বরমের! বললেন, "প্রধানমন্ত্রী কমান্ডার, আমরা বাহিনী"
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আপনারা অবশ্যই দেখেছেন, গোটা দেশ জনতা কার্ফুতে অংশ নিয়েছিল। তারপর সন্ধ্যা ৫টায় দেশের মানুষ কীভাবে ৫ মিনিট ধরে ধন্যবাদজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন। সমাজের বিভিন্ন অংশের মনে, সবার জন্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয় রয়েছে। চিকিৎসকরা জীবন রক্ষা করেন এবং আমরা তাঁদের ঋণ কখনই শোধ করতে পারব না”।
স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থার নিন্দা করে তিনি বলেন, “কিছু জায়গা থেকে এই ধরণের খবর এসেছে, যা মনে আঘাত দিয়েছে। আমি সমস্ত নাগরিককে আবদেন করছি, যদি কোনও জায়গায় এই ধরণের ঘটনা দেখা যায়, যদি আপনারা চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কোনও দুর্ব্যবহার দেখতে পান, তাহলে সেখানে গিয়ে মানুষকে বোঝান”।