নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Law) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কংগ্রেসের উদ্দ্যেশে বললেন, তারা যদি সমস্ত পাকিস্তানিকে ভারতের নাগরিক করতে চায়, তা যেন তারা “ঘোষণা” করে। বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে “ভীতি ছড়ানোরও” অভিযোগ তোলেন তিনি, পাশাপাশি জানান, নয়া আইনে দেশের কোনও নাগরিকের ক্ষতি হবে না। ঝাড়খণ্ডের বারহাইটে নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের খোলা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি তাদের সেই সাহস থাকে, তাদের খোলাখুলি ঘোষণা করা উচিত, প্রত্যেক পাকিস্তানিকেই ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে প্রস্তুত তারা। তারপর দেশই তার প্রতিদান দেবে...শুধু সেটাই নয়। যদি তাদের সেই ইচ্ছে থাকে, তাহলে তারা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে, যা নরেন্দ্র মোদি প্রত্যাহার করেছে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কংগ্রেস “মিথ্যা তথ্য ও ভীতি ছড়ানোর” রাজনীতি করছে। তাঁর কথায়, “আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনেছে, এবার আবারও তারা মিথ্যা বলছেন নাগরিকত্ব আইন দেশের কোনও নাগরিকের ক্ষতি করবে না”
প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, “আমি আবারও বলছি, এই আইনে দেশের কোনও নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে”।
গত সপ্তাহে পাস হয় নাগরিকত্ব আইন. তারপর থেকেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের ঘটনার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা পথে নামেন। কোনও অনুমতি ছাড়াই জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে, পাশাপাশি পড়ুয়াদের ওপর বল প্রয়োগেরও অভিযোগ ওঠে, অনেকে আহত হয়েছেন।
২০৫-এর আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত অমুসলিম ব্যক্তি ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করা হয়েছে এই নয়া আইনে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কীভাবে কোনও ভারতীয় মুসলিম বা অন্য যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়? কেন আপনারা মিথ্যে বলছেন? কেন আপনারা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন? নিজেদের রাজনৈতিক খিচুড়ি রান্না করতে এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মুসলিমদের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস ও তাদের বন্ধুরা। কারণ, কংগ্রেসের বিভাজনের নীতি, দেশ একবার ভাগ হয়েছে। আগে দেশ টুকরো হয়েছে। যেভাবে তারা লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে ঢুকতে দিয়েছে, এবং নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে”।