This Article is From Feb 13, 2020

প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন করোনা পরিস্থিতি, আশ্বস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) দাবি করলেন, করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন করোনা পরিস্থিতি, আশ্বস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, ওই ভাইরাস যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

হাইলাইটস

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • বুধবারই সরকার করোনা ভাইরাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস
  • এখনও পর্যন্ত চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১,৩১০ জন
নয়াদিল্লি:

বুধবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাসের বিপদকে (Coronavirus Situation) গুরুত্ব দিচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Health Minister Harsh Vardhan)দাবি করলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন ব্যক্তিগতভাবে। ওই ভাইরাস যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সারা দেশের ২১টি বিমানবন্দরে ছ'টি দেশ যথা চিন, তাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আগত পর্যটকদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।''

প্রতিবেশী চিনে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এ পর্যন্ত ৪৮,২০৬ জনের করোনা ভাইরাসে আখ্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, ১৭ জানুয়ারি থেকেই করোনা-পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এব্যাপারে জন সচেতনতা জারি করতে থাকার আগে থেকেই। তিনি জানান, ‘‘আমরা দেশের সমস্ত রাজ্যকে নির্দেশ পাঠাই আইসোলেশন বেড ও মাস্কের বন্দোবস্ত করতে। এবং ভেন্টিলেটরেরও ব্যবস্থা রাখতে। এমনকী আমরা সংক্রণের প্রথম দিকেই আমরা পর্যটকদের উদ্দেশেও নির্দেশাবলি পাঠাই।''

এখনও পর্যন্ত চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১,৩১০ জন। হংকং ও ফিলিপিন্স থেকেও দু'জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এখনও পর্যন্ত ভারতে তিনজনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। তিনটি কেসই কেরলে। একজনকে এরই মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দু'জনের অবস্থা স্থিতিশীল।

চিনের উহান শহর থেকে দেশে ফেরা ৬৪৫ জন ভারতীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁদের সকলেরই অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু তাঁদের এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে তিনি জানান।

জাপানের বন্দরে আটকে পড়া প্রমোদ তরণীতে থাকা ১৬০ জন ভারতীয় সম্পর্কে তিনি জানান, জাপান সরকারের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযো রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই জাহাজে বহু যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বুধবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ অত্যন্তু জরুরি। কিন্তু সরকার এই অসুখকে গুরুত্ব সহকারে বিচার করছেন না বলে তিনি জানান। 

.