Read in English
This Article is From Jun 01, 2020

চাষির হাতে আরও টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উৎসাহের সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেট বৈঠকে

এছাড়াও এদিনের নিরাপত্তা ও আর্থিক বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং খুচরো বা রাস্তার বিক্রেতাদের নিয়েও গুরুত্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by ,

নিরাপত্তা বিষয়ক প্যানেল লাদাখে চিনের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে পারে

Highlights

  • এমনিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ধাক্কায় নাজেহাল ভারত
  • তার উপর আবার ভারত-চিন সীমান্তে শুরু হয়েছে উত্তেজনা
  • সঙ্কটে দেশের অর্থনীতি ও সুরক্ষা, সমাধানে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি
নয়া দিল্লি:

দেশে কৃষকদের (Farmer) হাতে যাতে আরও টাকা আসে, অর্থাৎ উৎপাদিত ফসল থেকে কৃষকরা যাতে আরও টাকা পান, সেজন্য আরও ১৪টি ফসলের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে (Cabinet Meet) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এদিনের নিরাপত্তা ও আর্থিক বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প( MSME) এবং খুচরো বা রাস্তার বিক্রেতাদের নিয়েও গুরুত্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সপ্তাহে দেখা গিয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমেছে ১১ বছরে সবচেয়ে তলানিতে এবং সম্প্রতি তিনমাসে তারওপর লকডাউনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে কর্মহারা হয়েছেন প্রায় ১২ কোটি মানুষ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে, “গ্রাম, গরীব ও কৃষক সরকারের অগ্রাধিকার”, বৈঠকের পর কমিটির তরফে বিস্তারিত জানানো হয়।

কৃষি বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, ঋণ শোধ করতে আরও সময় পাবেন কৃষকরা, এবার থেকে ঋণ শোধের সময়সীমা হবে অগস্ট মাস পর্যন্ত।

Advertisement

মন্ত্রী জানান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নেওয়া যাবে এবং চাইলে নিজেদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা।

গতমাসে সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো তাদের ফসল যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারবেন, এবং নিজেদের নির্ধারিত দাম নিতে পারবেন।

Advertisement

করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে তৃতীয়বারের আর্থিক উৎসাহ ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, নতুন আইনে কৃষকরা “বিনা বাধায় আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য” করতে পারবেন চাষিরা এবং ই-ট্রেড করতে পারবেন।

অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চালু করতে. ২০ এপ্রিল লকডাউনের নিয়ম কিছুটা শিথিল করে সরকার। গতমাসে চালু করা হয় দেশী উড়ান এবং রেল পরিষেবা।

Advertisement

আনলক ১ চালু করে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার থেকে চালু হয়েছে আনলক ১। সম্প্রতি ছাড় দেওয়া হয়েছে শপিং মল, রেস্তোঁরা, হোটেল এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চার দশকেরও বেশি সময়ে এমন অবস্থা ভারতীয় অর্থনীতিতে আসেনি। এই প্রথম সারা বছরের ক্ষেত্রে এক মারাত্মক মন্দার সম্মুখীন হয়েছেন ভারত। এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি করা হলেও দেখা গেছে দেশে কোভিড- ১৯ সংক্রমণকে বাগে আনা যাচ্ছে না, প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মুখে পড়া বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে এখন ভারত সপ্তম স্থানে।

Advertisement

অথচ নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে যে চিঠিটি লেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাতে তিনি দাবি করেন যে, দেশ নাকি গত বছরের তুলনায় ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে।

তিনি আরও ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, ভারত অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ স্থাপন করবে এবং মহামারীবিরোধী লড়াইয়ের মতোই অর্থনৈতিকভাবেও ঘুরে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দেবে।

Advertisement