বিশ্বের তাবড় নেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদিও একজন, যাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ফলোয়ার্স রয়েছেন
নয়াদিল্লি: সোমবার দেশবাসীকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইট করলেন, এক সপ্তাহে তিনি তাঁর ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। যদিও তাঁর কারণ বিশদে ব্যাখা করেননি তিনি। বিশ্বের তাবড় নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিও একজন, যাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ফলোয়ার্স রয়েছেন, ট্যুইটারে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৫৩.৩ মিলিয়ন, ফেসবুকে ৪৪ মিলিয়ন এবং ইনস্টাগ্রামে ৩৫.২ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছেন তাঁর।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর, প্রধানমন্ত্রীর কূর্সিতে বসার পর থেকে একটিই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নরেন্দ্র মোদি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিয়ে গর্ব করেন তিনি।
২০০৯ সালে তিনি ফেসবুক এবং ট্যুইটারে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সেগুলিতে তিনি খুবই সক্রিয় এবং প্রত্যেকটি পোস্টে হাজার হাজার ‘লাইক' এবং উত্তর আসে।
তাঁর এই পোস্টে কয়েক মিনিটেই হাজারখানেক ‘লাইক' পড়ে, যদিও, দিল্লি হিংসার মতো সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তাঁর নীরবতায় প্রশ্ন তোলেন অনেকেই, দিল্লিতে সংঘর্ষ নিয়ে তিনদিন পর মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তাঁর এদিনের ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩০,০০০ লাইক পড়ে, উত্তর এসেছে ১৬,০০০ এবং ১০,০০০ রিট্যুইট হয়েছে আধ ঘন্টা সময়ে ব্যবধানে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ট্যুইটে প্রচুর উত্তর আসতে থাকে, আতঙ্ক, ধন্দ, এবং তাঁর সমালোচকদের থেকে ধেয়ে আসে বিভিন্ন উত্তর।
ট্যুইট করেন রাহুল গান্ধিও।
তাঁর এক সমর্থক লেখেন, “কেন স্যার? আপনার সঙ্গে যোগাযোগের এটাই একমাত্র মাধ্যম। আমরা জানি, বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি দুঃখিত, তবুও, এটা করবেন না। আমরা জানি, এই ব্যাপারটা কতদুর যাবে। আপনাকেই আমরা সমর্থন করি। আপনার থেকে আমরা শক্তি পাই। আপনি আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা”।