This Article is From Aug 22, 2019

কাশ্মীর সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতামত আর পাঁচটা ভারতীয়ের মতোই: জাভেদ আখতার

Javed Akhtar On Kashmir Issue: জাভেদ বলেন, “যখন উভয় সম্প্রদায়ের ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি’ আমার কথায় আপত্তি জানায়, তখন আমি নিশ্চিত হই যে আমি যা বলছি আসলে তা সঠিক।"

কাশ্মীর সম্পর্কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতামত আর পাঁচটা ভারতীয়ের মতোই: জাভেদ আখতার

Javed Akhtar On Kashmir Issue: কলকাতায় একটি সাহিত্য অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন জাভেদ

কলকাতা:

Javed Akhtar On Kashmir Issue: আর পাঁচটা সাধারণ ভারতীয় নাগরিক যেমন ভাবেন, অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন করাও তেমন স্পষ্টতই গড়পড়তা ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি- কলকাতায় একটি সাহিত্যানুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার। শান্তির জন্য জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত পদ থেকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার অপসারণের দাবি তুলেছেন পাক মন্ত্রী, সেই বিষয়েই মন্তব্য করেন জাভেদ। বুধবার রাতে সাংবাদিকদের জাভেদ বলেন, “যদি প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যে পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের মন খারাপ হয়, তবে তাঁদের যা ইচ্ছা সেটাই করতে পারেন।" 

দেশের জন্য সত্যিকারের চিন্তাটাই জাতীয়তাবাদ; এনডিটিভির মুখোমুখি জাভেদ আখতার

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পরে এবং জম্মু কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা এইচ ফোরকে সম্বোধন করা এক চিঠিতে পাকিস্তানের মানবাধিকারমন্ত্রী শিরিন মাজারি বলেন যে বলিউড অভিনেত্রী কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের নীতিকে সমর্থন করছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘পারমাণবিক যুদ্ধ' করার পক্ষেই রয়েছেন।

শিরিন মাজারি চিঠিতে লিখেছেন, “প্রিয়াঙ্কা চোপড়া প্রকাশ্যেই এই ভারত সরকারের অবস্থান সমর্থন করেছেন এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দ্বারা পাকিস্তানকে দেওয়া পারমাণবিক হুমকিও সমর্থন করেছেন। এগুলি পুরোপুরিই শান্তির নীতি এবং শুভেচ্ছার পরিপন্থী। অথচ প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার শান্তির বার্তা ছড়াতে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে কাজ করার কথা।” 

"বুদ্ধিজীবীদের ভয়" নিয়ে টুইট শেখর কাপুরের, প্রতিবাদে সরব জাভেদ আখতার

অভিনেত্রীর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জাভেদ আখতার বলেন, “আমি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে ব্যক্তিগতভাবে জানি। তিনি একজন সংস্কৃতিবান, শালীন এবং শিক্ষিত ব্যক্তি এবং আসল কথাটি হল যে তিনি একজন ভারতীয়। যদি গড় ভারতীয় নাগরিক (প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো) এবং পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কোনও প্রকার বিতর্ক এবং পার্থক্য দেখা যায়, তবে অবশ্যই অভিনেত্রীর মতোই সেই নাগরিকের দৃষ্টিভঙ্গিও ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিই হবে।"

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাভেদ আখতার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে প্রায় প্রতিদিন ট্রোল করা হয়। তিনি বলেন, “গত দু-তিন দিন ধরে প্রচুর ঘৃণাজড়ানো বার্তা পেয়েছি কারণ আমি ইমরান খানের মতামতের প্রেক্ষিতে আমার মতামত প্রকাশ করেছি।” জাভেদ আরও বলেন, “যখন উভয় সম্প্রদায়ের ‘ধর্মীয় গোঁড়ামি' আমার কথায় আপত্তি জানায়, তখন আমি নিশ্চিত হই যে আমি যা বলছি আসলে তা সঠিক। যেদিন দু'তরফের কেউ একজন আমাকে গালি দেওয়া বন্ধ করে দেবে, আমাকে ভাবতে হবে আমি কী ভুল বললাম!”

তিনি সম্প্রতি টুইট করেছিলেন, “ইমরান সাহেব। আমি যদি ভারতীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে আপনার উদ্বেগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করি তবে আমি অকৃতজ্ঞ হব। আমি ভাবতেই পারি না, আপনি যদি অন্যদের প্রতি এতটা যত্নবান হন তবে আপনাকে আপনার দেশের হিন্দু, খ্রিস্টান, আহমদিয়া, মোহাজিরদের প্রতিও ততটাই মমতাবান হতে হবে?”

বুধবার তাঁর টুইটটি মাইক্রোব্লগিং সাইটে সমালোচনার মুখে পড়লে প্রত্যুত্তরে জাভেদ বলেন, “... আমি ধর্মনিরপেক্ষ যুক্তিবাদী জাতীয়তাবাদী গর্বিত ভারতীয়, যিনি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই চিন্তিত।”

কাশ্মীর উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জাভেদ আখতার বলেন, “আমি কী চলছে এখন তা নিয়ে অবগত নই। আসলে আমরা বেশিরভাগই কেউ কিছু জানি না কারণ খুব কমই সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে কাশ্মীর সম্বন্ধে। এখনও বিশদে জানা বাকি! আমরা শুধু জানতে পারছি কিছু জায়গায় কার্ফিউ চলছিল, অনেকটা বিধিনিষেধ রয়েছে, ইত্যাদি মাত্র।"



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.