Priyanka Gandhi Ganga Yatra: এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে তা ভাবতে পারেন নি আয়োজক কংগ্রেসও।
প্রয়াগরাজ: লঞ্চে গঙ্গাবক্ষে প্রয়াগরাজ ও বারাণসী দিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর(Priyanka Gandhi) প্রচার শুরুর খবর কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা হতেই, সাংবাদিকদের মনে গত কয়েকদিনে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছি, কীভাবে এই সফর কভার করা যাবে? আজ সকালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রার নৌসফর(Priyanka Gandhi Ganga Yatra) শুরু হতেই, এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে তাতে কোনও উত্তর ছিল না আয়োজক কংগ্রেসের কাছেও। মিডিয়ার প্রতিনিধিদের জন্য আলাদা একটি লঞ্চের ব্যবস্থার কথা বলা হয় কংগ্রেস নেতৃত্বকে, তবে বিভিন্ন রকম উত্তর পাওয়া যায়, যেমন, “আমরা চেষ্টা করব”, “ঠিক আছে, আমরা ব্যবস্থা করছি”, “কী করে আমরা একটি নৌকার ব্যবস্থা করব...আপনারা নদীতে পড়ে গেলে কী হবে? আমরা দায়িত্ব নিতে পারব না”।
এদিন সকালে সাংবাদিকরা মনিয়া ঘাটে পৌঁছে দেখতে পান, পুরো লঞ্চটি রয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী(Priyanka Gandhi) এবং কয়েকজনের জন্য।
নির্ধারিত সময়ের দু ঘন্টা পর সকাল ১১.৩০ নাগাদ পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।ভিড়ের মধ্যে এসপিজি আধিকারিকদের সাহায্যে কোনওমতে লঞ্চে ওঠেন তিনি।
নাটকের শুরু তারপর।প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর(Priyanka Gandhi) লঞ্চ যেই চলতে শুরু করল, তাঁর কাছাকাছি আরেকটি নৌকা দেখা গেল।কেউ একজন বলেন, সেটি মিডিয়ার প্রতিনিধিদের জন্য, হঠাৎ, প্রায় ডজনখানেক সাংবাদিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
আমার সিনিয়র সহকর্মী কমল খান এবং আমি, কী করব ভেবে হবাক হয়ে যাই।আমরাও সেই হুড়োহুড়ির মধ্যে সামিল হই, এবং কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সহযোগিতায় নৌকায় উঠে পড়ি।নৌকাটি দুলতে শুরু করল, মনে হল আমরা পড়ে যাব।মাঝি চিৎকার করে বলতে থাকেন, অন্তত ২০ জনকে নেমে যেতে হবে। তারপর কংগ্রেস নেতারা সহমত হলেন, যে তাঁরা নেমে যাবেন।
যখন আমরা চলতে শুরু করলাম, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লঞ্চ অনেকটা দুর চলে গেছে।
আমাদের সমস্যা তখনও শেষ হয় নি।আমাদের নৌকা যখন মাঝনদীতে পৌঁছাল, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল। একজন বিদেশী সাংবাদিক আমায় জিজ্ঞাসা করলেন, এটা নিরাপদ কিনা।আমি বললাম, “আমাদের এখন ভাল চিন্তা করা উচিত, কারণ আমরা এখন মাঝনদীতে আছি”।
নিস্তব্ধভাবে ৫ মিনিট পর, মাঝি জানালেন, নদীর জলস্তর কম হওয়ায় আমাদের নৌকা বালিতে আটকে গেছে। সেই কারণেই, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নৌসফরের অনুমতি পেতে চারদিন লেগেছিল। সাংবাদিকদের বলা হয়, নৌকা আর এগোবে না, তাঁদের জেটিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ছোটো নৌকা ডাকা হল। আমার তখন রবিবারের একটি আলোচনার কথা মাথায় হল, যে গঙ্গায় আমাদের নৌকায় হানা দিতে পারে কুমীর। এখানে নাকি প্রচুর কুমীর আছে।
আরও ৩০ মিনিট পর, ছোটো নৌকা এসে পৌঁছাল এবং আমরা সাবধানে একটি নৌকা থেকে আরেকটিতে উঠলাম।তীরে পৌঁছাতে আমাদের আরও আধঘন্টা সময় লাগল।যখন আমরা পৌঁছালাম, এলাহাবাদের এক কংগ্রেস নেতা বললেন, “এভাবে কি হয়?এমনকী, আমিও কোনও নৌকাতেই উঠতে পারলাম না। আমার কথা বাদ দিলাম...আপনাদের সঙ্গে কী হল দেখুন।ড্রইং রুমে থাকলে এমনই হয়।কারও কোনও ধারণা নেই। আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে”।