हिंदी में पढ़ें Read in English தமிழில் படிக்க
This Article is From Jul 20, 2019

উত্তরপ্রদেশ গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার সাক্ষাৎ করল প্রিয়ঙ্কা গান্ধির সঙ্গে

সোনভদ্রায় যাওয়ার পথে শুক্রবার আটক করা হয় প্রিয়ঙ্কাকে, রাতে সেখানকার অতিথি নিবাসেই থেকে যান কংগ্রেস নেত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি অতিথি নিবাসে রাত কাটান প্রিয়ঙ্কা গান্ধি
  • গত ২৪ ঘণ্টা ধরে মির্জাপুরে আটকে রাখা হয় প্রিয়ঙ্কাকে
  • শুক্রবার সকালে উত্তরপ্রদেশ পৌঁছন প্রিয়ঙ্কা
মির্জাপুর:

শুক্রবার সোনভদ্রে গুলিতে নিহত (Sonbhadra shootout) ১০ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই মির্জাপুরে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরাকে (Priyanka Gandhi Vadra) আটকে দেওয়া হলেও শনিবার সকালে তাঁর সঙ্গে নিহতদের পরিবারের সাক্ষাতের অনুমতি দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শুক্রবার সোনভদ্রের কাছে মির্জাপুরের একটি অতিথি নিবাসে রাত কাটান প্রিয়ঙ্কা (Priyanka Gandhi spends night in Mirzapur)। শনিবার সকালেই সনিয়া কন্যা অতিথি নিবাস থেকে বেরিয়ে ফের একবার সোনভদ্রে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে তিনি ওই স্থান ছাড়বেন না। কিন্তু এরপরে ওই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ওই অতিথি নিবাসের সামনে উপস্থিত হলে তাঁদের সেখানে প্রবেশ করে কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয় পুলিশ।“নিহতদের পরিবারের ২ আত্মীয় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন, কিন্তু বাকি ১৫ জনকে আমার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আমাকেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ভগবানই জানেন  ওঁদের মন সম্বন্ধে”, শনিবার সকালে বলেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশে গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পথেই আটক প্রিয়ঙ্কা গান্ধি

শুক্রবার রাতে ৪৭ বছরের নেত্রীর লাগাতার ট্যুইটের পর তাঁর সঙ্গে গভীর রাতে দেখা করতে আসেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আধিকারিক ও সরকারি আধিকারিকরা। প্রিয়ঙ্কাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ারও অনুরোধ করেন তাঁরা। “আমি তাঁদের স্পষ্টভাবে জানাই যে আমি এখানে কোনও নিয়ম ভাঙতে আসিনি, কিন্তু ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতেই হবে আমাকে। আমি তাঁদের সঙ্গে দেখা না করে ফিরে যাবো না”, ট্যুইটে জানান প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। ছবিতে দেখা যায় মির্জাপুরের ওই অতিথি নিবাসে লোডশেডিং হওয়ার ফলে দলের কর্মীদের নিয়ে অন্ধকারেই বসে আছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে থাকা অন্য কংগ্রেস কর্মীরাও অভিযোগ করেন যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের ফিরে যাওয়ার জন্যে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে শনিবার সকালে সোনভদ্রে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গেলে তাঁদেরও বারাণসী বিমানবন্দরে আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এক ভিডিও বার্তায় ঘটনার কথা জানান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।

"আমাদের আটক করা হয়েছে": বারাণসী বিমানবন্দর থেকে ভিডিও বার্তা ডেরেক ও'ব্রায়েনের

Advertisement

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে, সোনভদ্রের একটি গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের (Sonbhadra incident) ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের, আহত হন ২৪ জনেরও বেশি মানুষ। অভিযোগ ওঠে যজ্ঞ দত্ত ও তাঁর শাগরেদরা মিলে একদল উপজাতি শ্রেণিভুক্ত কৃষকদের উপর গুলি চালায়। ওই কৃষকরা বহুযুগ ধরে সেখানকার ৩৬ একর জমিতে চাষ করে আসছে, সেই জমিই ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার যজ্ঞ দত্ত প্রায় দুই শতাধিক লোক ও ৩২ টি ট্রাক্টর নিয়ে এসে ওই জমি বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করে। তখনই তাঁরা কৃষকদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হলে প্রায় আধঘণ্টার উপর সময় ধরে গুলি চালায়, যার জেরেই মৃত্যু হয় ১০ জনের।

তবে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শর্মা অভিযোগ করেন যে সোনভদ্রের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে কংগ্রেস।“যদি প্রিয়ঙ্কা গান্ধি এতই সচেতন তবে রাজস্থানের ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে কেন সরব হননি তিনি”, সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান তিনি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে এনডিটিভিকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি জানান, “এটা আমাদের কাজ এবং আমাদের এটা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে যতই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, আমি বিষয়টিতে পাত্তা দেব না”।

তবে অনেকেই মনে করছেন ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে রাজ্যে কংগ্রেসের জমি শক্ত করতেই সোনভদ্রে ছুটে গেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। লোকসভা নির্বাচনের পর এই নিয়ে দু'বার উত্তরপ্রদেশে গেলেন ওই কংগ্রেস নেত্রী।

Advertisement