হোয়াটসঅ্যাপ স্নুপিং মামলায় সরকারের প্রতিক্রিয়া চাইলেন Priyanka Gandhi Vadra
নয়া দিল্লি: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) হ্যাকিংয়ের চাঞ্চল্যকর অভিযোগে এবার মোদি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরা। যেভাবে ইজরায়েলি একটি সংস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ভারতীয়ের ফোন হ্যাক করার (WhatsApp Hacking) চেষ্টা করা হয় সে বিষয়ে তাঁর সন্দেহের তির নির্দেশ করছে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। এই হ্যাকিং বিষয়ে সরকারের বিবৃতিও দাবি করেন সোনিয়া কন্যা (Priyanka Gandhi Vadra)। "যদি বিজেপি বা সরকার ইজরায়েলি এজেন্সিগুলিকে সাংবাদিক, আইনজীবি, নেতাকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের ফোনে আড়ি পাতার জন্যে নিযুক্ত করে থাকে, তবে এটি মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা এবং জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক তদন্তমূলক একটি কলঙ্ক। সরকারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি", টুইট করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভদরা।
২০টি দেশের সরকারি আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ে চাঞ্চল্য: রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয় যে, চলতি বছরের গোড়ার দিকে, ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা ইজরায়েলি স্পাইওয়ার নিয়ে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে আরও জানানো হয় যে, তথ্য হাতানোর জন্যে নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুরোপুরিই বিভ্রান্তকর, এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে “কঠোর ব্যবস্থা” নেওয়া হবে। একটি বিবৃতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত সরকার। জানানো হচ্ছে যে, আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার। কোনও নিরাপরাধ নাগরিক যাতে হেনস্থা না হন, এবং তাঁর গোপনীয়তা যাতে প্রকাশিত না হয়, তার জন্যে যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে”।
মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক নিশ্চিত করে জানায় যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবহারকারী তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে চলতি বছরের শুরুর দিকে তাঁদের হোয়াটস অ্যাপের উপর নজরদারি করেছে একটি ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার। মনে করা হচ্ছে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত দুই সপ্তাহ ব্যাপী কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক এবং নেতাকর্মীর হোয়াটস অ্যাপের উপর নজরদারি করেছে ওই সংস্থাটি । মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাঁরা অভিযোগ করেছে যে এই সংস্থাটি ২০ টি দেশের ১,৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী, যাঁর মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকার কর্মী এবং প্রবীণ সরকারি আধিকারিকের হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারকে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করেছে।
“কঠোর ব্যবস্থা”, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে প্রতিশ্রুতি সরকারের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভারতের নাগরিকদের গোপনীয়তা ফাঁস হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। ফাঁস হওয়া সম্পর্কে আমরা হোয়াটসঅ্যাপের থেকে জানতে চেয়েছি, এবং কোটি কোটি ভারতবাসীর গোপনীয়তা রক্ষার জন্যে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে”।
আধিকারিকদের ফোন হ্যাক করার জন্য সফ্টওয়্যারটি কে ব্যবহার করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়, এনএসও বলেছে যে তাঁরা নিজেদের স্পাইওয়্যারটি একচেটিয়া সরকারি গ্রাহকদের কাছেই বিক্রি করে। তবে যাঁদের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল তাঁরা বেশিরভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাহরিন, মেক্সিকো, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক বলে জানা গেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে তথ্য হাতানোর চেষ্টায় এবার সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তোলে বিরোধী দল কংগ্রেস।