নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দলের দায়িত্বে আসেন প্রিয়াঙ্কা
হাইলাইটস
- দলের হয়ে কারা কাজ করেননি সেটা আমি খুঁজে বের করবঃ প্রিয়াঙ্কা
- মা সোনিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের সমালোচনা করেন তিনি
- এবার উত্তরপ্রদেশে দলের হয়ে প্রচার করেন প্রিয়াঙ্কা
রায়বরেলি, উত্তর প্রদেশ: মা সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস কর্মীদের সমালোচনা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanaka Gnadhi )। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলির সভা থেকে তিনি জানান, তাঁকে বলতে বলা হয়েছে বলেই তিনি বলছেন। তাঁর দাবি একাংশের কংগ্রেস কর্মীরা দলের জয় নিশ্চিত করতে যা করা দরকার তা করেননি। আর সেই তালিকায় কারা আছেন সেটা খুঁজে বের করার কাজ করবেন বলেও জানান প্রিয়াঙ্কা(Priyanaka Gnadhi ) । এবারের লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2019) আগে তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদকের (General Secretory) দায়িত্ব এনেছে কংগ্রেস। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ভোটে জয় পেয়েছেন সোনিয়া। আর তাই বুধবার তিনি নিজের সংসদীয় এলাকায় যান। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কাও।
ক্ষমতায় থাকতে ভদ্রতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে বিজেপি: সোনিয়া
সভা থেকে তিনি বলেন, আমি ভাষণ দিতে চাইনি। কিন্তু আমাকে বলতে বলা হয়েছে। তাই আমায় সত্যিটা বলার সুযোগ দিন। আসল সত্যিটা হল রায়বরেলিতে আমরা জিতেছি সোনিয়া গান্ধী এবং এলাকার মানুষের জন্য। কারা মন থেকে দলের হয়ে কাজ করেছেন সেটা সকলেই জানেন।
বীরভূমে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ
নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দলের দায়িত্বে আসেন প্রিয়াঙ্কা। তারপর বারাণসী থেকে শুরু করে গোটা পূর্ব উত্তরপ্রদেশ জুড়ে প্রচার করেন তিনি। রায়বরেলী এবং অমেঠিতেও প্রচার করেন তিনি।কিন্তু অমেঠিতে পরাজিত হন রাহুল গান্ধী। বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে নিজের দেড় দশকের ‘কর্মভূমি'তেই হারতে হয় রাহুলকে।
ছেলে হারলেও রায়বারেলি আসন থেকে এবারও বিপুল ভোটে জিতে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন সোনিয়া। এরপর নিজের সংসদীয় এলাকায় গিয়ে বুধবার বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেশ এমন একটা নির্বাচন পেরিয়ে এলো যার বিভিন্ন ধাপ নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে। ভোটারদের কাছে টানতে সমস্ত রকম পদ্ধতির প্রয়োগ হয়েছিল। দেশের সবাই জানে নির্বাচনে কী কী হয়েছিল তার মধ্যে কোনটা নৈতিক আর কোনটা অনৈতিক সেটাও জানে গোটা দেশ। আমার মনে হয় ক্ষমতায় থাকতে ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করেছে বিজেপি। আর এটাই দেশের কাছে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়। গত কয়েক বছর ধরেই নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।