This Article is From Jul 02, 2020

লক্ষ্য ইউপি! দিল্লি ছেড়ে লখনউতে পাকাপাকি বসবাসের উদ্যোগ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির

আবাসন মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব

লক্ষ্য ইউপি! দিল্লি ছেড়ে লখনউতে পাকাপাকি বসবাসের উদ্যোগ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির

দিল্লি ছেড়ে লখনউতে থাকতে উদ্যোগ নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।

নয়াদিল্লি:

দিল্লি ছেড়ে এবার পাকাপাকি উত্তরপ্রদেশে পাড়ি জমাতে উদ্যোগ নিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Priyanka Gandhi)। সে রাজ্যে কংগ্রেসের (Congress in UP) সংগঠন দাঁড় করাতে তৎপর এই দলনেত্রী। ইতিমধ্যে আবাসন মন্ত্রক তাঁকে দিল্লির লোধি এস্টেটের (Lodhi Estate in Delhi) বাংলো ছাড়তে নোটিশ পাঠিয়েছে। সেই নোটিশ পাওয়ার পর থেকে উত্তর প্রদেশে আসর জমাতে এবার উদ্যোগী প্রিয়াঙ্কা বঢড়া গান্ধি। কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই খবর। এদিকে আবাসন মন্ত্রক নোটিশে জানিয়েছিল, ১৯৯৭ সাল থেকে তাঁর নামে সেই বাংলো বরাদ্দ। নিরাপত্তার কারণে সেই বাংলো দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি আর এসপিজি নিরাপত্তার আওতাধীন নয়। তাই তাঁকে ছাড়তে হবে লোধি এস্টেটের বাংলো। পাশাপাশি মেটাতে হবে ৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। সেই টাকা বুধবারই অনলাইনে মিটিয়ে দিয়েছেন এই কংগ্রেস নেত্রী।

যদিও আবাসন মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের প্রথমেই সেই বাংলো ছেড়ে লখনউতে স্থানান্তরিত হতে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু লকডাউন, সংক্রমণ এবং মেয়ে মিরায়ার পরীক্ষা সবমিলিয়ে পিছিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেত্রীর সেই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে লখনউতে একটা পারিবারিক বাংলো খুঁজেছে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির কাকিমার সেই বাংলোতে আপাতত ঘাঁটি গাড়বেন প্রিয়াঙ্কা। সেখান থেকেই চলবে সংগঠনের কাজ। দু'বছর পর বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪-এর লোকসভায় কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে এই তৎপরতা প্রিয়াঙ্কার, দাবি কংগ্রেস সূত্রের।

দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিশ গেল প্রিয়াঙ্কা গান্ধির কাছে। পয়লা অগাস্টের মধ্যে ছাড়তে হবে সেই বাংলো। নয়তো গুণতে হবে জরিমানা। সেই নোটিশের উল্লেখ পয়লা জুলাই থেকে তাঁর নামে বরাদ্দ এই বাংলো বাতিল এবং বকেয়া হিসেবে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা প্রাপ্য। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের জারি করা এই নির্দেশে উল্লেখ, ৩৫ লোধি এস্টেটের বাংলো তাঁকে ছাড়তেই হবে। ১৯৯৭ সাল থেকে তাঁর নামে সেই বাংলো বরাদ্দ। একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অনুমোদন দিলে বাড়তে পারে বাংলো বরাদ্দের মেয়াদ। ইতিমধ্যে গান্ধি পরিবারের ওপর থেকে এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন বিশেষ সিআরপিএফ নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত। একমাত্র নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশে এই নোটিশ পুনর্বিবেচনা হতে পারে। উল্লেখ সেই নোটে।

.