This Article is From Sep 06, 2019

Aircel-Maxis Case:"তদন্ত সংস্থার বৈষম্যমূলক হওয়া উচিত নয়," বললেন বিচারক

Aircel-Maxis Case: ওপি সাইনি বলেন, "তদন্তকারী সংস্থাকে একই পরিস্থিতিতে অবস্থিত দু'জনের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়, কারণ এটি আইনের নীতির বিরুদ্ধে"।

Aircel-Maxis Case:

Aircel-Maxis Case: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে Tihar Jail-এ পাঠানো হয়েছে।

হাইলাইটস

  • তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে পি চিদাম্বরমকে
  • এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান
  • ডিএমকে নেতা দয়ানীধি মারান,তাঁর ভাই ইতিমধ্যেই মামলা থেকে অব্যাহতি পান
নয়া দিল্লি:

একই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করা উচিত নয় তদন্তকারী সংস্থার, এমনটাই মনে করেন দিল্লির একটি আদালতের বিশেষ বিচারক ওপি সাইনি। বৃহস্পতিবার দিল্লির ওই আদালত সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় (Aircel-Maxis Case) প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P Chidambaram) এবং তাঁর ছেলে কার্তিকে (Karti Chidambaram) গ্রেফতারির হাত থেকে আগাম সুরক্ষা দিয়েছে। মামলায় ইতিমধ্যেই অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যান্য অভিযুক্তদের আর্থিক তছরুপের পরিমানের তুলনায় পি চিদাম্বরম এবং তাঁর ছেলের তছরুপ করা ১.১৩ কোটি টাকা অনেকটাই কম।  বৃহস্পতিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর ছেলের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা দিয়ে আদালত এও নির্দেশ দেয় যে, তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের। আদালত বলেছে, ওই মামলায় কখনও গ্রেফতার হতে হলেও এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড বা অনুরূপ অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জামিন পাবেন তাঁরা। 

আদালত জানায় যে পি চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র বিনা অনুমতিতে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর পাশাপাশি ফের এই ধরণের অপরাধ না করার বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করে আদালত। এই মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ, হুমকি দেওয়া বা প্রভাবিত করার চেষ্টা বা প্রমাণের নষ্টের চেষ্টা করতে পারবেন না তাঁরা, এমন নির্দেশ দিয়েও তাঁদের সতর্ক করে আদালত। 

চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির আগাম জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির আদালত

বৃহস্পতিবারই আইএনএক্স মামলায় চিদাম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। তার কিছুক্ষণ পরেই এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রের আগাম জামিনের আবেদনে সাড়া দেয় দিল্লির ওই বিশেষ আদালত।

পি চিদাম্বরম এবং তার পুত্রকে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় অভিযুক্ত করার আগে, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ আদালত সিবিআই এবং ইডির করা মামলায় ডিএমকে নেতা ও প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারান এবং অন্যদের অব্যাহতি দেয়। পরে উভয় সংস্থা এই কেলেঙ্কারিতে চিদাম্বরম ও তাঁর পুত্রের নামে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করে।

তিহার জেলে যাওয়ার আগে বিশেষ অনুরোধ পি চিদাম্বরমের

বৃহস্পতিবার চিদাম্বরমকে আগাম জামিন দেওয়ার সময়, বিশেষ বিচারক ওপি সাইনি বলেন, "চিদাম্বরমদের বিরুদ্ধে অভিযোগও গুরুতর মাত্রার নয় কারণ অভিযোগ অনুযায়ী তাঁদের অর্থ তছরুপ করার পরিমাণ মাত্র ১.১৩ কোটি টাকা যা দয়ানীধির বিরুদ্ধে অভিযোগের তুলনায় অনেকটাই কম এবং দয়ানীধি ও অন্যান্যদের ঘুষের পরিমাণ ছিল ৭৪৯ কোটি টাকা, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে (দয়ানীধি) গ্রেফতার করা হয়নি। "

বিচারক বলেন: "তদন্তকারী সংস্থাকে একই একই পরিস্থিতিতে অবস্থিত দু'জনের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়, কারণ এটি আইনের নীতির বিরুদ্ধে। এটি লক্ষ্য করা যেতে পারে যে একই মামলার বিভিন্ন অভিযুক্তকে দেওয়া এক এক বিচারে অনিয়ন্ত্রিত বৈষম্যের মূল নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়। যেখানে সংবিধান মতে সর্বদা বিচারব্যবস্থাকে ন্যায়বিচার, ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে পরিচালনা করা উচিত।"

.