অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের ব্যাপারেও রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিভিসি।
হাইলাইটস
- অলোক বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা পড়ল
- রিপোর্ট জমা দিতে একদিন দেরি করে সিভিসি
- সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার
নিউ দিল্লি: ছুটিতে থাকা সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিল সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন। রিপোর্ট জমা দিতে একদিন দেরি করে সিভিসি। এর জন্য তারা ক্ষমা চেয়ে নেয়। রিপোর্ট দিতে দেরি হওয়ায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ক্ষোভের মুখে পড়ে সিভিসি। তিনি বলেন, ওই রিপোর্ট জমা নেওয়ার জন্য রবিবার সকাল থেকে রেজিস্ট্রারের অফিস খুলে রাখলাম। কিন্তু আপনারা কেউ এলনে না, কিছু জানালেনও না। এর জবাবে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বিরোধী সংগঠনের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন রিপোর্ট রবিবারই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আদালতে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গিয়েছিল বলে জমা দেওয়া যায় নি। দেরির জন্য ক্ষমা চায় কমিশন। এই রিপোর্টের পাশাপাশি সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা নাগেশ্বর রাওয়ের ব্যাপারেও রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিভিসি। তাতে গত কয়েক দিনে তিনি কী কী পদক্ষেপ করেছেন তার উল্লেখ আছে। অন্যদিকে আদালত জানিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার ।
ট্রলি দিয়ে সন্ত্রাসবাদীর থেকে প্রাণ বাঁচানোর নায়ককে অনুদানে ভরে দিলেন সাধারণ মানুষ
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় অন্দরে চলতে থাকা বিতর্কের মাঝে অধিকর্তা বদল করা হল। সিবিআইয়ের অধিকর্তা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অলোক বর্মার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা হন এম নাগেশ্বর রাও। 1986 সালের এই আইপিএস আফিসার এতদিন ছিলেন যুগ্ম অধিকর্তা পদে। সরকারি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয় নাগেশ্বর রাও সিবিআই অধিকর্তার দায়িত্ব সামলাবেন।
একই সঙ্গে অলোক এবং রাকেশের অফিসও সিল করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অধিকর্তার সঙ্গে কাজ করতেন এমন সমস্ত আধিকারিককেও ছুটিতা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরের 10 এবং 11 নম্বর তলা সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই তলা দুটিতেই বসতেন ছুটিতে যাওয়া আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে এই পদক্ষেপ করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশের চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার। তাতে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে পদে এলেও কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না নাগেশ্বর রাও।