Read in English
This Article is From Jan 07, 2020

কেন্দ্র আয়োজিত নাগরিকত্ব আইনের নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা অস্বীকার বলিউডের প্রযোজকের

‘মালাং' ছবির ট্রেলর লঞ্চের সময় ভূষণ কুমার জানিয়ে দিলেন‌, তিনি ওই বৈঠকে যাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি গ্র্যান্ড হায়াতে ছিলাম। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে আমি কোনও বৈঠকে গিয়েছিলাম।''

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by
মুম্বই:

রবিবার মুম্বইয়ের লাক্সারি হোটেলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিষয়ে সরকারের বৈঠক ও নৈশভোজে (Centre's Citizenship Law Dinner) তিনি যোগ দেননি বলে জানিয়ে দিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ভূষণ কুমার (Bhushan Kumar)। রবিবার ওই সভার আয়োজন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং বিজেপির সহ সভাপতি বৈজয়ন্ত ‘জয়' পান্ডা। ‘মালাং' ছবির ট্রেলর লঞ্চের সময় ভূষণ কুমার জানিয়ে দিলেন‌, তিনি ওই বৈঠকে যাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি গ্র্যান্ড হায়াতে ছিলাম। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে আমি কোনও বৈঠকে গিয়েছিলাম।'' এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

ভূষণ কুমার অস্বীকার করলেও, তিনি যে কেবল সেই সময় গ্র্যান্ড হায়াতে ছিলেন, তাই নয়। বিজেপির তরুণ রথী টুইট করে সেদিনের অভ্যাগতদের স্বাগত জানানোর সময় তাঁকেও ট্যাগ করেন।

‘‘আসুন, আমরা নতুন করে শুরু করি'' জেএনইউ উপাচার্য

Advertisement

রবিবারের বৈঠকে আরও যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন রণবীর সুরি ও ঊর্বশী রাওতেলার মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ছিলেন সুরকার অনু মালিক এবং গায়ক শান ও কৈলাশ খের। পাশাপাশি সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন যোশীও গিয়েছিলেন। এছাড়া যে চলচ্চিত্র নির্মাতার ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তাঁরা হলেন, রীতেশ সিদ্ধানি, কুণাল কোহলি, রাজকুমার সন্তোষী, অনিল শর্মা, রমেশ তউরানি, রাহুল রাওয়াইল।

ভূষণ কুমার ওই বৈঠকে যাওয়ার কথা অস্বীকার করায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

ওইদিনের বৈঠকে বলিউডের অনেকেই নিমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা যাননি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম রিচা চাড্ডা ও ফিল্ম নির্মাতা কবীর খান।

Advertisement

জেএনইউয়ের হাম‌লার প্রতিবাদ, গানে-কবিতায় মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে

প্রসঙ্গত, রবিবারের বৈঠকের সময়ই জেএনইউতে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী দুষ্কৃতী। আহত হন ৩৪ জন। সোমবার সেই হাম‌লার প্রতিবাদে কার্টার রোডে বিরাট মিছিলে অংশ নেন বলিউড তারকারা। তাপসী পান্নু, অনুরাগ কাশ্যপ, অনুভব সিনহা, বিশাল ভরদ্বাজ, জোয়া আখতার সহ অনেককেই দেখা যায় সেখানে।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আই‌নের প্রতিবাদে স্পষ্টতই বিভাজিত বলিউড। এই আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিক দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 

Advertisement