This Article is From Dec 26, 2019

প্রেসিডেন্সির অধ্যাপকের নেতৃত্বে Anti-CAA Rally, ভিডিও ভাইরাল

মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে চার কিলোমিটার দূরে শ্যামবাজার পর্যন্ত যায় ওই মিছিল। 

প্রেসিডেন্সির অধ্যাপকের নেতৃত্বে Anti-CAA Rally, ভিডিও ভাইরাল

প্রতিবাদ মিছিলের (Anti-CAA Rally) নেতৃত্ব দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (CAA) প্রতিবাদে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) প্রতিবাদ মিছিলের (Anti-CAA Rally) নেতৃত্ব দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানবতা ও সমাজবিজ্ঞান' বিভাগের ডিন প্রদীপ বসু। সেই মিছিলের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অধ্যাপক বসুকে মিছিলে ‘‘এনআরসিকে জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও'', ‘‘সিএএ-কে জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও'' ও ‘‘ফ্যাসিবাদি শাসনব্যবস্থার শেষ হোক''  জাতীয় স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে স্লোগানে গলা মেলান মিছিলে হাজির বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া ও প্রতিবাদীরা। মঙ্গলবার কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে চার কিলোমিটার দূরে শ্যামবাজার পর্যন্ত যায় ওই মিছিল।

বৃহস্পতিবার অধ্যাপক বসু বলেন, মিছিলটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং কোনও ছাত্র ইউনিয়ন রাজনৈতিক পতাকা সহ মিছিলে যোগ দেয়নি।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্যকে ‘‘রাজনৈতিক'' বলে সমালোচনা বিরোধীদের

তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় কী হয়েছে। মানুষকে ধর্মীয় বৈষম্যের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি প্রতিবাদের তাগিদ অনুভব করছিলাম। তাই যখন ছাত্রছাত্রীরা আমাকে বলল আমি সঙ্গে সঙ্গে ওদের অনুরোধে সাড়া দিই।''

এসএফআইয়ের শুভজিৎ সরকার জানাচ্ছেন, পড়ুয়ারা প্রদীপ বসুর মতো অধ্যাপক পেয়ে গর্বিত। তিনি বলেন, ‘‘স্যার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিতে রাজি হয়ে যান। মিছিলে ছিল হাজারখানেক মানুষ। বেশির ভাগই আমাদের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য নয়। উনি এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। আমরা ওঁর সঙ্গে গলা মেলাতে থাকি। পরিবেশ ছিল উদ্দীপ্ত।''

প্রতিবাদ মিছিলে অধ্যাপকের যোগদান নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

]নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে।

বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে এই নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.