জামাত-ই-ইসলামি কর্মী ও নেতাদের সম্পত্তি সিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ
শ্রীনগর: জামাত-ই-ইসলামি জম্মু ও কাশ্মীর (Jamaat-e-Islami J&K বা জেইআই) নিষিদ্ধের কয়েকদিন পর, এই দলের বেশ কিছু কর্মী ও দলের নেতৃত্ববৃন্দের ঘর সিল করে দিল কর্তৃপক্ষ। কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই বাড়ি সিল করে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যে। সকল ম্যাজিস্ট্রেট জেইআইয়ের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং সম্পত্তি সিল করার আদেশ জারি করে। বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেইআইকে পাঁচ বছরের জন্য বেআইনি সংগঠন ঘোষণা করেছে এবং গত চার দিনে এই দলের ২00 জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
“ফিরে আসতে পেরে ভাল লাগছে”,বললেন পাইলট অভিনন্দন বর্তমান
কেন্দ্রে অভিযোগ, জেইআইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বৃদ্ধির পিছনে এঁদের হাত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে গৃহ মন্ত্রণালয় বেআইনি ক্রিয়াকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে এই সিদ্ধান্তটি নেয়।
রাজ্যের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল - পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এই দলকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। পিডিপির প্রধান মেহবুব মুফতি বলেন, “জামাত-ই-ইসলামিকে নিয়ে সরকারের এত অস্বস্তি কেন? মৌলবাদী হিন্দু গোষ্ঠীগুলি আসলে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতিকে বিকৃত করে ফেলছে। অথচ কাশ্মীরিদের জন্য নিস্বার্থভাবে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকেই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।” ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাধারণ সম্পাদক আলি মোহাম্মদ সাগরও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিরক্ত। তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকের পরাক্রমেই ভারতে ফিরেছেন অভিনন্দন; স্মৃতি ইরানী
এদিকে, গত পাঁচ দিন ধরে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে আর্থিক মদত জোগানোর মামলায় মিরওয়াইজ উমর ফারুকের (Mirwaiz Umer Farooq) বাড়িসহ সাতটি জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এনআইএ'র দাবি, মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বাসস্থান থেকে উচ্চ প্রযুক্তির ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলের লেটার হেড এবং পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির জন্য ভিসার সুপারিশ করা চিঠিও উদ্ধার হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।