Citizenship Amendment Act: উত্তরপ্রদেশের রামপুর জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশে নতুন করে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি
- বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা, এলাকায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ
- দিল্লির জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ৭ দিনে পড়ল বিক্ষোভ
লখনউ: ক্রমশই যেন প্রবল হচ্ছে নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) বিরোধী প্রতিবাদ। শনিবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে। যোগী রাজত্বের (Uttar Pradesh) রামপুরে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এদিকে নতুন করে বিক্ষোভ দানা বাঁধে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশ, এবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল সে রাজ্যের রামপুর। সূত্রের খবর, শনিবার সেখানে একদল বিক্ষোভকারী (Citizenship Act Protest) ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ, এরপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁদের হঠাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে যোগী রাজ্যের পুলিশ, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। রামপুরে ইদগাহ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পরপরই ওই অঞ্চলের মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবারও উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে আছড়ে পড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলনের ঝড়। উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব বিক্ষোভের সময় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৯ জনের।
এদিকে দিল্লির (Delhi) জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে বিক্ষোভ হওয়ায় আশঙ্কিত দিল্লি পুলিশ। গত রবিবার এই বিশ্ববিদ্যালয়েই বিক্ষোভ ঘিরে ছাত্র-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই থেকেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে, যা আজ (শনিবার) সপ্তম দিনে পড়ল।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ, পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের ১২টি জেলায় শুক্রবার দুপুরে রাজ্যব্যাপী জারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে আসে। অভিযোগ, প্রতিবাদীরা গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি পাথরও ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে থাকে। মীরাট, মুজাফফনগর, বাহরাইচ, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, ফারাক্কাবাদে অশান্তির কথা জানা গিয়েছে। প্রায় দু'মিনিটের ভিডিওতে শুক্রবার গোরক্ষপুরে হওয়া হওয়া অশান্তির দৃশ্য দেখা গিয়েছে। বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৯ জনের।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বলি ৬! CAA-এর প্রতিবাদে নেমে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু বিক্ষোভকারীদের!
বাংলার ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ (শনিবার) লখনউতে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন দীনেশ ত্রিবেদী।
যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মহা নির্দেশক ওপি সিং বলেন যে পুলিশের গুলিতে একজন প্রতিবাদকারীও নিহত হননি। "আমরা একটি গুলিও চালাইনি", বলেন তিনি । আরেক পুলিশ কর্তা দাবি করেন যে, "যদি কোনও গুলি চলার ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা প্রতিবাদকারীদের দিক থেকেই হয়েছে"।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, দেখুন ভিডিও: