দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল হয় পড়ুয়া ও সমাজকর্মীরা।
মুম্বই: নতুন নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে শুক্রবার মুম্বইয়ে দু'টি বিপরীতধর্মী মিছিল বের হল। দু'টি মিছিলের ঘটনাস্থল কাছাকাছি। দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সামিল হয় পড়ুয়া ও সমাজকর্মীরা। তার থেকে চার কিলোমিটার দূরে আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে এই আইনের সমর্থনে বিপুল জমায়েত হয়। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মিছিলে যোগ দেওয়া এক ব্যক্তি NDTV-কে জানান, নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনআরপি-র সম্মিলিত ফল নোটবন্দিরই পুনরাবৃত্তি হবে।
আজাদ ময়দানে ওই ব্যক্তি NDTV-কে বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি ও এনপিআর কেবল ধর্মীয় ইস্যুই নয়, এটা সকলকে প্রভাবিত করবে। আমরা নোটবন্দি পার্ট ২ চাই না।''
আর এক পড়ুয়ার বক্তব্য, ‘‘এনপিআর এনআরসির প্রথম ধাপ। আমাদের বোকা বানানো হচ্ছে। প্রতিবাদ থামবে না। যতদিন না এই আইন বাতিল হচ্ছে আন্দোলন চলবে।''
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদের বাইরে বিপুল জমায়েত
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক প্রতিবাদী জানিয়েছেন, ‘‘এটা এই সরকারের দায়িত্ব সকলকে রক্ষা করা এবং সংবিধানের বিরোধিতা না করা।''
আজাদ ময়দানে বহু অভিনেতা ও সেলেব্রিটিও যোগ দেন।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ঘিরে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে প্রধানমন্ত্রী মোদি
এদিকে আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল বের হয় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বীর সাভারকারের নাতি রণজিৎ সাভারকার। মিছিলে ভারতীয় পতাকার পাশাপাশি বীর সাভারকারের পোস্টারও ছিল। গত সপ্তাহে এই আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিল হাজার হাজার পড়ুয়ারা।
মুম্বই ছাড়াও দিল্লি ও কলকাতাতেও শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল বের করা হয়।
নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের আশঙ্কা এই আইন ও এনআরসির যৌথ প্রয়োগে উপযুক্ত নথি না থাকা মুসলিমদের এই দেশ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে হতে পারে।